Afghan Crisis: সপরিবার বাথরুমে লুকিয়ে, বাচ্চা কাঁদলেই মুখ চেপে ধরছি, বললেন আফগান আধিকারিক

ঠিক যেন হিন্দি ছবির সেই ডায়লগের মতো। যেখানে গ্রামের বাচ্চাদের ভয় দেখানোর জন্য বলা হত, এখনই ঘুমিয়ে পড়। না হলে ‘গব্বর’ চলে আসবে! তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকে সে দেশের ছবিটা অনেকটা এ রকমই। বাইরে তালিবান ঘুরছে, ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে। আতঙ্কে দিশাহারা পরিবারগুলির অনেকে পালাচ্ছেন। কেউ আবার নিঃশব্দে ঘরেই লুকিয়ে পড়ছেন।

এমনই একটি ঘটনা সামনে এল শুক্রবার। তালিবান জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির বাথরুমে লুকিয়ে দিন কাটাচ্ছেন একই পরিবারের ১৬ সদস্য। শুধু তাই নয়, তাঁদের উপস্থিতি যাতে তালিব জঙ্গিরা টের না পায় সে জন্য ঘরের আলো নিভিয়ে, মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন। কিন্তু বাচ্চাদের কত ক্ষণ চুপ করিয়ে রাখা যায়! মাঝেমধ্যে তারা কেঁদে উঠতেই চুপ করানো হচ্ছে, মুখ ঢেকে দেওয়া হচ্ছে তাদের। অনেকটা সেই ‘গব্বরের’ মতো।

আফগান সরকার এবং আমেরিকার হয়ে কাজ করেছেন এমন কর্মীদের খোঁজে দরজায় দরজায় কড়া নাড়ছে তালিব জঙ্গিরা। খোঁজ পেলেই তাঁদের রেয়াত করা হচ্ছে না বলে বিভিন্ন সূত্র মারফৎ দাবি করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগান সরকারের এক আধিকারিক ও তাঁর পরিবার তেমনই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে বাথরুমে নিজেদের লুকিয়ে রেখেছেন। খাবার ক্রমশ কমে আসছে। এ ভাবে কত দিন কাটাতে হবে তা ভেবে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই আধিকারিক।

তিনি বলেন, “দেশের ক্ষমতায় যখন গনি সরকার ছিল তখন আমার পরিবারের দুই সদস্য তালিবানের হাতে খুন হয়। আমরা পরিবার সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্য রয়েছে। যখনই কোনও গাড়ির আওয়াজ পাচ্ছি বুকের ভিতরটা ছ্যাঁৎ করে উঠছে। এই বুঝি জঙ্গিরা এল।” পরিবার নিয়ে দেশের বাইরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন ওই আধিকারিক। বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের কাছে ভিসার আবেদনও করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।