গনিকে কী কী পরামর্শ দিয়েছিলেন বাইডেন ফাইল চিত্র।
তালিবানের দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গিয়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি জটিল হওয়ার জন্য এক দিকে যখন জো বাইডেন প্রশাসনকে দায়ী করছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্য দিকে তখন পূর্বসূরির উপরেই দায় চাপাচ্ছেন বাইডেন। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির শেষ ফোনালাপ সামনে এসেছে। তাতে ধরা পড়েছে চাঞ্চল্যকর কথোপকথন।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই ফোনালাপ সামনে এনেছে। তাদের দাবি, গত ২৩ জুলাই শেষ বার গনিকে ফোন করেছিলেন বাইডেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ মিনিট কথা হয়েছিল। সেখানে গনিকে কিছু পরামর্শ দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। রয়টার্সের দাবি, গনিকে বাইডেন বলেছিলেন, যদি যুদ্ধে আফগান সেনা তালিবানের কাছে হারতে থাকে তা হলেও শেষ পর্যন্ত দেশের মানুষকে সেটা বলা যাবে না। তাদের বোঝাতে হবে যে আফগান সেনা জিতছে। সেই সঙ্গে আরও বোঝাতে হবে যে আমেরিকা তাঁদের সাহায্যের জন্য রয়েছে। শেষ দিন পর্যন্ত এই ধারণা জিইয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজনে গনি ও তাঁর সরকারের মন্ত্রীদের সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা বলতে হবে বলেই জানান বাইডেন।
এই ফোনালাপে বাইডেনের কাছে গনি বেশ কিছু সাহায্য চেয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। তালিবানকে রুখতে আমেরিকার বিমানবাহিনীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন তিনি। সেই সঙ্গে আফগান সেনার জন্য আর্থিক সাহায্যও চান গনি। বাইডেন তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সব রকমের সাহায্য করবে আমেরিকা। প্রয়োজন পড়লে আফগানদের দেশ থেকে বার করে আনা হবে বলেও জানান তিনি। সেই সঙ্গে আফগান বাহিনীর প্রশংসা করেছিলেন বাইডেন। আমেরিকার অধীনে প্রশিক্ষণ নেওয়া তিন লক্ষ সেনা তালিবানকে রুখে দেবে বলেই জানান তিনি।
যদিও আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছাড়তে শুরু করার পরেই একের পর এক প্রদেশ দখল করতে শুরু করে তালিবান। গত ১৫ অগস্ট তারা কাবুল দখল করার পরে দেশ ছেড়ে পালান গনি। এই মুহূর্তে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন। অন্য দিকে আফগানিস্তানের পতনের পরে বাইডেন জানান, তিনি ভাবতে পারেননি এত সহজে হেরে যাবে আফগান সেনা। তাদের জন্য আমেরিকা আর লড়াই করবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তালিবানের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সবাইকে আফগানিস্তান থেকে বার করে আনে তারা। যদিও এই ফোনালাপ সামনে আসার পরে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy