নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে লন্ডনের রাস্তায়।
ওমিক্রন উদ্বেগ যেন আরও জাঁকিয়ে বসছে লন্ডনে। রাস্তাঘাট শুনশান। হোটেল, রেস্তরাঁ এবং পাবগুলি গ্রাহকের জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করছে। সেই চেনা ভিড় উধাও। আর এক সপ্তাহ পরই বড়দিনের উৎসবে মাতবে গোটা বিশ্ব। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে লন্ডন-সহ গোটা ব্রিটেন উৎসবমুখর হতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবারই ইংল্যান্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ক্রিস উইটি জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন খুব প্রয়োজন এবং কাজের গুরুত্ব বুঝে তবেই তাঁরা যেন বাড়ির বাইরে বার হন। অযথা জমায়েত না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে যখন ব্রিটেনে ব্যবসা বাণিজ্য মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, ঠিক তখনই ওমিক্রনের হানা ফের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়কার ছবি ফিরিয়ে এনেছে। লন্ডনে নিত্যদিনের চেনা ছবি যেন এক লহমায় উধাও হয়ে গিয়েছে। বাস, ট্রাম, ট্রেনে ভিড় নেই। ব্রিটেনের সবচেয়ে ব্যস্তবহুল পর্যটকস্থল লন্ডন সেতু, ওয়েস্টমিনস্টার সেতু এবং লন্ডন ওয়াটারলু স্টেশনে যেন একটা রহস্যময় নিস্তব্ধতা।
দক্ষিণ লন্ডনের এক রেস্তরাঁ মালিক বলেন, “ভেবেছিলাম বড়দিনের আগে ব্যবসা ভাল হবে। কিন্তু গত শীতের লকডাউনের মতো এ বারও সেই একই দৃশ্য ফিরে আসতে চলেছে বলে মনে হচ্ছে। অনেকেই বুকিং বাতিল করছেন। যা একটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সঙ্কেত দিচ্ছে।”
ওমিক্রন মোকাবিলায় ব্রিটেনের বহু জায়গায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ইতিমধ্যেই। পাব, রেস্তরাঁ এবং বাণিজ্যক্ষেত্রগুলি খোলা থাকলেও পর্যাপ্ত গ্রাহকের দেখা মিলছে না বলে জানিয়েছেন ম্যাট ওয়ার্ড নামে এক ব্যবসায়ী। ওয়াল্টিং স্ট্রিট, ল্যানডেলহল মার্কেটে ডিসেম্বরে পাবগুলি ভিড়ে ঠাসা থাকে। কিন্তু সেই ছবি উধাও ওমিক্রন সংক্রমণের জেরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy