প্রতীকী ছবি।
বোরখার বদলে হিজাব চলতে পারে। কিন্তু পুরুষসঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না কোনওমতেই। বৃহস্পতিবার ফের আফগান তালিবানের তরফে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই মধ্যে খবর এসেছে এক টিভি অ্যাঙ্কর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত বেশ কয়েকজন মহিলার কাজ হারানোর। এই পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের ফের দু’দশক আগের পরিস্থিতির প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কাবুলে ঘরবন্দি এক মহিলা বলেন, ‘‘ওরা (তালিবান) কী করতে পারে, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট। যাদের সামনে বিকল্প রয়েছে, তাঁরা তাই দেশ ছাড়ছেন বা ছাড়ার চেষ্টা করছেন।’’ ২০০১ সালে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর কাছে যুদ্ধে হেরে তালিবান নেতৃত্ব ক্ষমতা হারিয়েছিলেন। পরবর্তী ২০ বছরে তাঁরা আফগানিস্তানের সামাজিক ও কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ মেনে নিতে পারেননি বলেও ওই মহিলার দাবি। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার ওরা প্রতিশোধ নিতে এসেছে।’’ চাকরিজীবী ওই মহিলাকে ইতিমধ্যেই তাঁর সংস্থার তরফে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
রাজধানী কাবুল তালিবানের দখলে চলে আসার পর থেকে শহরের রাস্তায় মেয়েদের ছবি নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। অঘোষিত ফতোয়া— রাস্তাঘাটে যেন কোনও নারী-মুখ দেখা না যায়। কেবলমাত্র বাবা, স্বামী বা অন্য পুরুষ আত্মীয়ের সঙ্গেই মহিলারা বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন বুধবার জানিয়েছেন, বোরখা পরা বাধ্যতামূলক নয়। হিজাব পরেও বাইরে বেরোতে পারবেন মহিলারা।
কাবুলে কর্মরত নার্স এবং চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে বুধবার স্থানীয় তালিবান নেতারা বৈঠক করেন। আপাতত স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কর্মরত মহিলাদের ‘ছাড়’ দেওয়া হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’-এর আধিকারিক হায়দর বার বলেন, ‘‘বহু ক্ষেত্রেই নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মহিলা কর্মীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy