নিউ ইয়র্কের মেয়র-নির্বাচন নিয়ে আমেরিকান মুলুকে উত্তেজনা তুঙ্গে। খবরের শিরোনামে ভারতীয়-বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জ়োহরান মামদানি। কিন্তু তার পাশাপাশি আরও এক ভারতীয়ের নাম ক্রমশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে আমেরিকার রাজনীতিতে। তিনি হলেন গাজ়ালা হাশমি।।
৬১ বছর বয়সি হাশমি লড়ছেন ভার্জিনিয়ার লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পদের জন্য। এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর জন্ম ভারতের হায়দরাবাদে। তবে পাকিস্তান-আমেরিকানদের মধ্যেও বেশ নাম কিনেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়া-বংশোদ্ভূতদের ভোট যাবে হাশমির ঝোলাতেই। এই মুহূর্তের সমীক্ষা অনুযায়ী, জনসমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী জন রীডের থেকে এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
ভার্জিনিয়ার রাজনীতিতে বেশ পোড়খাওয়া নাম হাশমি। বর্তমানে তিনি ভার্জিনিয়ার স্টেট সেনেটর পদে রয়েছেন। মাত্র চার বছর বয়সে মা ও বড় দাদার সঙ্গে আমেরিকা চলে এসেছিলেন হাশমি। তাঁর সেই ভারতীয় জন্মসূত্রই রাজনীতির ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অভিবাসীদের মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রচারে তাঁদের হয়ে কথা বলছেন। ভারতীয় ও পাকিস্তানি, দুই গোষ্ঠীর হয়েই সরব হয়েছেন হাশমি। অনেকেই বলছেন, হাশমির যে সকলকে কাছে টেনে নেওয়ার চেষ্টা, একত্রিত করার উদ্যোগ, সেটাই মানুষের মন কেড়েছে। দক্ষিণ এশীয়দের সঙ্গে গভীর সংযোগ তৈরি হয়েছে।
এ সবের পাশাপাশি হাশমির প্রচারের অন্যতম বিষয় ‘গণতন্ত্র রক্ষা’। এক দিকে যখন আমেরিকা জুড়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী শাসনের অভিযোগ উঠছে, ‘নো কিং’ অর্থাৎ কোনও রাজা চাই না— এই মর্মে স্লোগান উঠছে, সে সময়ে হাশমির গণতন্ত্র রক্ষার দাবি মানুষের নজর কেড়েছে। এ ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন, সুলভে স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা, শিক্ষা, ভোটাধিকার নিয়ে প্রচার করছেন হাশমি।
আগামী ৪ নভেম্বর ভার্জিনিয়ার লেফটেন্যান্ট গভর্নর নির্বাচন। ২০১৯ সালে প্রথম মুসলিম ও প্রথম দক্ষিণ এশীয়-আমেরিকান হিসেবে ভার্জিনিয়ার সেনেটে জায়গা করে নিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন হাশমি। এ বারে রাজনীতির ময়দানে ফের নজির গড়বেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)