Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নাপসন্দ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, বিচ্ছেদ চান স্কারামুচির স্ত্রী

নয়া প্রচার কর্তা স্কারামুচি ঘনিষ্ঠদের একাংশ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের প্রতি কর্তার প্রবল আনুগত্যই নাকি ‘চোখের বালি’ স্কারামুচির স্ত্রী দেইদ্রে বলের। তাই স্বামী হোয়াইট হাউসে পা রাখার এক সপ্তাহের মাথায় সটান বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠুকে বসেছেন তিনি।

সস্ত্রীক স্কারামুচি

সস্ত্রীক স্কারামুচি

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ০৩:০৮
Share: Save:

কেউ স্বেচ্ছায় পদ ছাড়ছেন। কাউকে আবার ছেঁটে ফেলছেন প্রেসিডেন্ট নিজেই। তাঁর জমানায় গত ছ’মাসে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে সরে গিয়েছেন পাঁচ শীর্ষস্থানীয় কর্তা। যা নিয়ে কম ডামাডোল হয়নি হোয়াইট হাউসে। এরই মধ্যে ফের ‘বদনাম’ কুড়োলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের সদ্য নিযুক্ত ডিরেক্টর অব কমিউনিকেশন অ্যান্থনি স্কারামুচির ঘর ভাঙতেও নাম জড়াল তাঁর।

কী ভাবে? নয়া প্রচার কর্তা স্কারামুচি ঘনিষ্ঠদের একাংশ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের প্রতি কর্তার প্রবল আনুগত্যই নাকি ‘চোখের বালি’ স্কারামুচির স্ত্রী দেইদ্রে বলের। তাই স্বামী হোয়াইট হাউসে পা রাখার এক সপ্তাহের মাথায় সটান বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা ঠুকে বসেছেন তিনি। অনেকে আবার বলছেন, স্কারামুচির রাজনৈতিক উচ্চাশাও হতাশ করেছে দেইদ্রেকে। ‘‘ট্রাম্পকে একেবারেই পছন্দ করতেন না দেইদ্রে। স্কারামুচির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও সমর্থন ছিল না তাঁর। এমনকী তাঁর হোয়াইট হাউসে গিয়ে থাকাতেও প্রবল আপত্তি ছিল,’’ বলছেন এক ঘনিষ্ঠ।

আরও পড়ুন: পাক-প্রধানমন্ত্রী পদে আপাতত শাহিদ আব্বাসি

মে মাসে হোয়াইট হাউসের প্রচার কর্তার পদ থেকে ইস্তফা দেন মাইক ডাবকে। এর পরে চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই সেই পদে অর্থলগ্নি সংস্থার প্রাক্তন কর্তা অ্যান্থনি স্কারামুচিকে নিয়োগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রাজনীতিতে আনকোরা স্কারামুচির নিয়োগে অবাক হন অনেকেই। যদিও প্রচার কর্তা হিসেবে স্কারামুচির নাম উঠে আসছিল বহু দিন ধরেই। এ দিকে তাঁর স্ত্রী দেইদ্রে কিন্তু বরাবরই ট্রাম্পের বিপক্ষে। রিপোর্ট বলছে, ২০১৫ সালে ট্রাম্প-বিরোধী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ক্যাথলিন রাইসের প্রচারে সাড়ে পাঁচ হাজার ডলার দান করেন তিনি। ওই একই বছরে উইসকনসিনের গভর্নর রিপাবলিকান প্রার্থী স্কট ওয়াকারের নির্বাচনী প্রচারে প্রায় এগোরো হাজার ডলার ও জেব বুশের প্রচারের জন্য আড়াই হাজার ডলার দিয়েছিলেন।

বাফেলো ইউনিভার্সিটির স্নাতক দেইদ্রে বল ২০০৫ সালে স্কাইব্রিজ ক্যাপিটাল নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। যে ভাবেই হোক হোয়াইট হাউসে ঢুকতে নাছোড় স্কারামুচি জানুয়ারিতেই সংস্থাটি বিক্রি করে দেন। ২০১১ সাল থেকে সম্পর্ক ছিল তাঁদের। ২০১৪-তে বিয়ে। আর তার তিন বছরের মাথাতেই বিচ্ছেদের তোড়জোড়। সরাসরি না হলেও, বন্ধুরা বলছেন এ জন্য অনেকাংশেই দায়ী ট্রাম্প। যে ট্রাম্পকে পছন্দই করেন না দেইদ্রে, তাঁর ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ঢুকতে চেয়েই দাম্পত্যে চিড় ধরালেন স্কারামুচি। এক সূত্রের কথায়, ‘‘ওয়াল স্ট্রিটের জীবন আর তাঁদের লং আইল্যান্ডের বাড়িই পছন্দ ছিল দেইদ্রের। ওয়াশিংটনের ডিসির বিদঘুটে জীবন নয়। তাই দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও এই কঠিন সিন্ধান্তটা নিয়েছেন তিনি।’’

এ দিকে, বিতর্ক সত্ত্বেও রদবদল জারি ট্রাম্প প্রশাসনে। এ বার হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইনস প্রিবাসকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় হোমল্যান্ড সিক্যুরিটি সেক্রেটারি জন কেলিকে বসালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্কারামুচিকে নিয়ে আপত্তির জেরে গত সপ্তাহেই ইস্তফা দিয়েছেন ট্রাম্পের প্রচার সচিব শন স্পাইসার। আবার প্রিবাসের সঙ্গেও স্কারামুচির সম্পর্ক একেবারেই ভাল ছিল না। গত কয়েক দিন মার্কিন সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিল তাঁদের দ্বন্দ্ব। তাই অনেকেই বলছেন, স্ত্রী সঙ্গ ছাড়লেও প্রিবাসকে সরিয়ে স্কারামুচির পাশে থাকার বার্তাই দিলেন প্রেসিডেন্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE