রাতবিরেতে বন্দুক হাতে প্রথমে প্রেমিকার ঘরে ঢুকে তাঁকে পণবন্দি করা। তার পরে নিজেও সেই ঘরে ঢুকে তালা দিয়ে ‘ত্রাস’ তৈরি করা। এখানেই শেষ নয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মার্ক শোফিল্ড নামে ওই ব্যক্তি এলাকার গ্যাসপাইপ লাইন কেটে দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন। সোমবার রাত সওয়া তিনটে নাগাদ ফোন যায় পুলিশের কাছে। গ্রেটার ম্যাঞ্চেস্টারের ওল্ডহ্যাম স্ট্রিটে এই ঘটনায় এখনও নজর রাখছে পুলিশ।
ওল্ডহ্যামের শ এলাকা কার্যত এখন পুলিশের দখলে। মার্কের ২৭ বছর বয়সি প্রেমিকার দুই সন্তানও রয়েছে। একটির বয়স ছয়, অন্যটির মাত্র এক। পুলিশ অনেক ক্ষণ কথা বলে মঙ্গলবার ভোর ছ’টা নাগাদ কোনওক্রমে শিশু দু’টিকে বাড়ি থেকে বার করে আনতে পেরেছে। তারা কথাবার্তা চালাচ্ছে মার্কের সঙ্গে। গ্যাস পাইপ লাইন কাটা থেকে তৈরি হয়েছে বিস্ফোরণের আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকল এবং বিদ্যুৎকর্মীরা। শ-এর ওই বাড়িটির আশপাশের ২০০টি বাড়ি থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।
পুলিশ-প্রধান নিল ইভানসের বক্তব্য, ‘‘গ্যাসের গন্ধ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। তবে কোথা থেকে সেটা জানা গিয়েছে, স্পষ্ট নয়। আমরা আগে থাকতেই সতর্ক হচ্ছি।’’ ইঞ্জিনিয়াররা লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এক প্রতিবেশীর দাবি, মার্কের ২৭ বছরের ওই প্রেমিকা লিজা হার্লির বাড়িতে রাত তিনটে নাগাদ তর্কাতর্কি হচ্ছে বলে শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। তবে সোমবার সকাল সকাল কী কারণে বাসিন্দাদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা প্রাথমিক ভাবে বুঝতেই পারেননি অনেকে। গ্যাস লিক থেকে বিস্ফোরণের আতঙ্ক যাতে বেশি না ছড়ায়, তার জন্য প্রথমে কিছু ভেঙে বলেনি পুলিশ।
মার্কের ফেসবুক পেজ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু তথ্য। পুলিশের দাবি, প্রেমিকাকে পণবন্দি করার আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘আমি দেখব, তুমি কখন ঘুমিয়ে পড়। তার পর মারব তোমায়। এটা কোনও ঠাট্টা নয়।’’ তার দশ ঘণ্টা আগে মার্কের ফেসবুক ওয়াল-এ লেখা ছিল, ‘‘সত্যিটা বেরিয়ে আসবে।’’
বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, শ খুবই শান্তিপূর্ণ এলাকা। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy