আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আবার বিদ্রোহী দমন অভিযান শুরু করল পাকিস্তান সেনা এবং আধাসেনা ফ্রন্টিয়ার কোরের যৌথবাহিনী। বুধবার থেকে চলা সংঘর্ষে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর অন্তত ১৯ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে পাক ফৌজের দাবি। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘সফল সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের’ জন্য সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পাক সেনার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতরের (আইএসপিআর) তরফে বৃহস্পতিবার বিকেলে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী তিনটি পৃথক এলাকায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে টিটিপির অন্তত দু’জন কমান্ডার রয়েছেন বলে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম। টিটিপির পাশাপাশি ওই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে স্বাধীন বালোচিস্তানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি’ (বিএলএ)-র গতিবিধি রয়েছে বলে পাক সেনার ইঙ্গিত। প্রসঙ্গত, পাক ফৌজ সাধারণ ভাবে টিটিপি সদস্যদের ‘ফিতনা আল-খারিজ়’ এবং বালোচ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘ফিতনা আল-হিন্দুস্থান’ বলে চিহ্নিত করে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বরে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরে ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা করেছিল টিটিপি। বিদ্রোহী ওই পাশতুন গোষ্ঠীর অভিযোগ ছিল, সংঘর্ষবিরতি ভেঙে পাক সেনা এবং ‘কাউন্টার টেররিজ়ম ডিপার্টমেন্ট’ (সিটিডি)-এর যৌথবাহিনী অভিযান শুরু করার ফলেই অশান্তি ছড়িয়েছে খাইবার-পাখতুনখোয়ায়। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশ লাগোয়া আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালিয়েছিল পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। ইসলামাবাদের দাবি, টিটিপি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের শাসক তালিবানের অভিযোগ ছিল, বারমাল জেলায় সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সে সময় পাক সেনাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তালিবান। সীমান্তে কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।