মায়ানমারে সংবিধানের প্রতিলিপি পোড়াচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। রয়টার্স
মায়ানমারের অপসৃত গণতন্ত্রকামী নেত্রী আউং সান সু চিকে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলল জুন্টা সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফৌজদারি ধারায় একাধিক মামলা করা হয়েছে।
১ ফেব্রুয়ারি ভোররাত থেকে কোনও গোপন জায়গায় আটক করে রাখা হয়েছে নোবেলজয়ী নেত্রীকে। গতকাল সন্ধেবেলা থানায় বসে তাঁর সঙ্গে প্রথম বার ভিডিয়ো বৈঠক করেন তাঁর আইনজীবীরা। তার পরে তাঁরা জানান, দু’মাস আটক থাকা সত্ত্বেও ৭৫ বছর বয়সি সুচি-কে আপাত ভাবে সুস্থই লাগছিল।
সুচি-র দল ন্যশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) থেকে বিতাড়িত কয়েক জন এমপি জানিয়েছেন, তাঁরা জুন্টার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তাঁরা এক বিবৃতি দিয়ে জানান, এ মাসের প্রথম দিকেই ‘নতুন অসামরিক সরকার’ গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সেই নতুন সরকার সেনার হস্তক্ষেপে ২০০৮ সালে তৈরি হওয়া দেশের সংবিধানকেও মানবে না বলে জানিয়েছেন এই নেতারা। বৃহস্পতিবার ইয়াঙ্গনের রাস্তায় রাস্তায় সেই সংবিধানের প্রতিলিপি পুড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
বুধবার রাতে মায়ানমার নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভুত্থানের পর থেকে মায়ানমারে ৫২৫ জন সেনা-পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সি বালিকাও রয়েছে। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বুর্গেনার গত কাল বলেন, ‘‘আমি সকলকে অনুরোধ করছি, মায়ানমারের সাধারণ মানুযের স্বার্থে আপনারা খুব তাড়াতাড়ি জোরদার পদক্ষেপ করুন। এর পরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। রক্তগঙ্গা বইবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy