জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ‘সংগঠিত হত্যাকাণ্ড এবং নির্বিচার গ্রেফতারি’র ঘটনায় বাংলাদেশের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী-সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী সোমবার, ১৭ নভেম্বর। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছে।
হাসিনা-সহ মোট তিন জন অভিযুক্ত এই মামলায়। অপর দু’জন হলেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। মামুন বর্তমানে এই মামলায় নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বের সমাপ্তিসূচক বক্তব্য (ক্লোজ়িং স্টেটমেন্ট) পেশ করেছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) দাবি জানান তিনি। বাংলাদেশের ঘোষিত ‘পলাতক’ দুই অভিযুক্ত হাসিনা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি দুই অভিযুক্তের খালাসের আর্জি জানান।
জনবিক্ষোভের জেরে ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানে ঢাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনাঘাঁটিতে হাসিনা চলে আসেন। সূত্রের খবর, আপাতত ভারতেই সাময়িক আশ্রয়ে রয়েছেন তিনি। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের কাছে অনুরোধ (নোট ভারবাল) পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের তরফে ওই কূটনৈতিক অনুরোধের প্রাপ্তিস্বীকার করা হলেও এখনও পর্যন্ত পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।