ক্ষমতা হারানোর এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার সরকার নিষিদ্ধ করেছিল ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-কে। কিন্তু ৫ অগস্টের পালাবদলের পর সেই দলেরই দাপট ক্রমশ বাড়ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে। জামাত প্রধান (আমির) শফিকুর রহমান এ বার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন নয়াদিল্লিকে।
সোমবার ঠাকুরগাঁওয়ে জামাতের সভায় শফিকুর বলেন, ‘‘আমরা চাই, ভারত যেন শান্তিতে থাকে। আমরা এ–ও চাই, তারা যেন আমাদের অশান্তির কারণ না হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে তারা সীমা অতিক্রম করে ফেলে। বাংলাদেশের মসনদে কে বসবে, কে সরকার গঠন করবে, তারা বাংলাদেশে এসে তরকারিতে লবণ দেয়। বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে, কে ক্ষমতায় আসবে, কে আসবে না।’’
আরও পড়ুন:
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামাত নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামাতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল।
গত ৩০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার ‘মৌলবাদী ও স্বাধীনতা বিরোধী’ জামাতের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট পালাবদলের পরে বদলে যায় পরিস্থিতি। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একাধিক উপদেষ্টার সঙ্গে জামাতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ।