ধন্যবাদের পালা সাঙ্গ হল রাত না গড়াতেই। এডেন উপসাগরে সোমালি জলদস্যুদের তাড়িয়ে জাহাজ উদ্ধারের কৃতিত্ব স্রেফ তাদেরই বলে দাবি করল চিন।
অথচ গত কালও বিষয়টা অন্য রকম ছিল। হাতে-হাত মিলিয়ে এডেন উপসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে দ্বীপরাষ্ট্র তুভালুর জাহাজ ‘ওএস ৩৫’ উদ্ধার করেছিল ভারত ও চিন। অভিযান শেষে ফলাও করে ভারতকে ধন্যবাদও জানিয়েছিল বেজিং। কিন্তু সময় গড়াতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে চিনের নৌসেনা জানাল, জলদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কারোর যদি কৃত্বিত্ব থেকে থাকে, তবে তা শুধুই তাদের। রাত বাড়তে দেখা যায়, চিনের নৌসেনার দেওয়া বিবৃতিতে কোথাও ভারতের নাম নেই। চিনের সেনাতরী রক্ষা করতে যে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে, সেই তথ্য বেমালুম মুছে দেওয়া হয়েছে। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং জানান, জলদস্যুর আক্রমণের মতো বিপদের মোকাবিলায় যে চিনা নৌসেনা কতটা দক্ষ, তা প্রমাণ করেছে এই অভিযান।
হুয়া জানান, ৮ এপ্রিল বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁরা খবর পান, মালয়েশিয়া থেকে ইয়েমেনের এডেন বন্দরের দিকে যাওয়ার পথে জলদস্যুদের খপ্পরে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র তুভালুর একটি জাহাজ। সঙ্গে সঙ্গে রওনা হয়ে যায় তাদের ইউলিন ক্লাস যুদ্ধজাহাজ। ৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয় অভিযান। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় মালবাহী জাহাজটি ও ১৯ কর্মীকে। অথচ, ভারতীয় সেনা বলছে, আক্রান্ত জাহাজটি থেকে প্রথম বিপদবার্তা পায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস মুম্বই এবং আইএনএস তারকাশ। তাদের ডেক থেকেই উঠে যায় সেনার চেতক হেলিকপ্টার। চিনা জাহাজের উপরে চক্কর কাটতে থাকে সেগুলি। সেই ছবিও পোস্ট করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।
দলাই লামার সফর নিয়ে হুঁশিয়ারি থেকে মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করা নিয়ে আপত্তি— সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে ভারতের সঙ্গে দ্বৈরথে জড়িয়েছে চিন। গত কালের পর সংঘাতের সেই আবহে খানিক প্রলেপ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। যদিও সৌজন্যের সুর বদলে গেল রাতারাতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy