ঝর্নারানি ভৌমিক
সকাল থেকেই উৎসবের আমেজ ছিল ভৌমিক বাড়িতে। রান্নাঘরেই ব্যস্ত ছিলেন বাড়ির গিন্নি ঝর্নারানি। ধর্ম আলাদা হলেও ইদের উৎসব পৌঁছে গিয়েছিল অন্দরমহলে। জোরকদমে রান্নাঘরে চলছে সিমাই-রুটির প্রস্তুতি!
এমন উৎসবের ছবিটা এক মুহূর্তে পাল্টে দিল বুলেট। বাইরে তখন ইদের হইচই। তারই মধ্যে অতর্কিত জঙ্গি হানায় লন্ডভন্ড হয়েছে ভিড়। তখনই জানলা দিয়ে ভৌমিক বাড়িতে উড়ে আসে একটা বুলেট। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে পাশের ঘরে যাচ্ছিলেন ঝর্নাদেবী। সেই বুলেট গিয়ে লাগে তাঁর মাথায়। লুটিয়ে পড়েন তিনি! মৃত্যু হয় সেখানেই!
গোটা ঘটনাটা একেবারে চোখের সামনেই দেখেছেন ঝর্নাদেবীর বড় ছেলে বাসুদেব। ঢাকার একটি কলেজে পড়ান তিনি। ইদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখে হকচকিয়ে গিয়েছেন। বিশ্বাস করতে পারছেন না ঘটনাটা। সেই সময়ে বাড়িতেই ছিলেন ঝর্নাদেবীর স্বামী গৌরাঙ্গ এবং তাঁর ভাই উপেন্দ্র। উপেন্দ্রর কথায়, ‘‘রুটি করবে বলে আটা মাখছিল। ছেলে লুঙ্গি চাইছিল বলে রান্নাঘর থেকে বেরিয়েছিল। আমরা সকলে সেখানেই শুয়ে ছিলাম। গুলিটা উড়ে এল আর কী করে যে কী হয়ে গেল...।’’
পুলিশ ঝর্নাদেবীর দেহ নিয়ে গিয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। উৎসবের রোশনাই ঢাকা পড়েছে আতঙ্কের অন্ধকারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy