অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকতে হামলার পরই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন নবিদ আক্রমণ। কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার কোমা থেকে বেরিয়ে আসার পর হাসপাতালেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নবিদের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৫৯টি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, খুন, আহত, খুনের চেষ্টার, গুরুতর ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র ছোড়া। হাসপাতালে তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও এখন চিকিৎসাধীনই থাকবেন।
গত রবিবার দুপুরে বন্ডাই সৈকতে সিডনির ইহুদি গোষ্ঠীর হনুক্কাহ্ উৎসবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন পিতা-পুত্র। সাজিদ আক্রম এবং নবিদ। এলোপাথাড়ি গুলি চালান তাঁরা। মাত্র ১০ মিনিটের সেই হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাজিদের। গুলি লাগে নবিদের গায়ে। গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জ্ঞান ছিল না তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, গুলি লাগায় কোমায় চলে গিয়েছিলেন নবিদ। পুলিশ জানিয়েছে, নবিদকে জেরা করেই জানা যাবে হামলার আসল কারণ।
আরও পড়ুন:
নবিদরা কেন বন্ডাই সৈকতে নির্বিচারে গুলি চালালেন, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু পুত্র যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা কিছুতেই বিশ্বাস করছেন না মা ভেরেনা। তাঁর দাবি, পুত্র নবিদ মানুষ হিসাবে খুবই ভাল। এতটাই ভাল যে, অন্যরাও তাঁর মতো ছেলেকে পেতে চাইবে বলে দাবি তাঁর। রবিবারের ঘটনাক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন, “ও (নবিদ) আমায় ফোন করে বলল, মা আমি সাঁতার কাটতে গিয়েছিলাম। স্কুবা ডাইভিং করেছি। এখন খেতে যাচ্ছি। তার পর বাড়িতেই থাকব। কারণ, বাইরে খুব গরম।”
প্রথমে জানা যায়, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক। তবে মঙ্গলবার তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সিডনিতে যাওয়ার আগে গত মাসে ফিলিপিন্স ভ্রমণে গিয়েছিলেন সাজিদ ও তাঁর পুত্র। তা-ও আবার ভারতীয় পাসপোর্টে! এর পরেই শুরু হয় জল্পনা, তবে কি ভারতীয় নাগরিক ছিলেন তাঁরা? এ ব্যাপারে সিলমোহর দেয় তেলঙ্গানা পুলিশ। তারা জানায়, সাজিদের জন্ম, পড়াশোনা— সবই ভারতে। তবে চাকরির সন্ধানে ১৯৯৮ সালে ভারত ছেড়ে পাড়ি দেন অস্ট্রেলিয়া।