Advertisement
E-Paper

ব্রেক্সিট আপাতত স্থগিত, তাই ইইউ ভোট নিয়েই ব্যস্ত ব্রিটেন

১৯৯৩ সালে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার বহু আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশ মিলে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’ (ইইসি) নামে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠন করেছিল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০১:৪৪

নির্ধারিত সূচি মেনে চললে এত দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ব্রিটেনের। কিন্তু ব্রিটিশ এমপি-রা কিছুতেই চূড়ান্ত ব্রেক্সিট চুক্তি তৈরি করে উঠতে পারছেন না। ২৯ মার্চ পার হয়ে যাওয়ার প্রায় দু’মাস পরেও কবে ব্রেক্সিট হবে, আদৌ হবে কি না, একদমই স্পষ্ট নয়। এই টানাপড়েনের মধ্যেই আগামী ২৩ মে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নিতে চলেছে টেরেসা মে-র ব্রিটেন।

১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হওয়ার বহু আগে ইউরোপের কয়েকটি দেশ মিলে ‘ইউরোপীয় ইকনমিক কমিউনিটি’ (ইইসি) নামে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠন করেছিল। সেই জোটের আমলে, ১৯৭৯ সালে, প্রথম ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচন হয়। তারপর থেকে মোটামুটি পাঁচ বছর অন্তর এই নির্বাচন হয়। এই নিয়ে নবম বার। এখন পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ ইউঙ্কার। তবে এ বার আর ভোটে লড়ছেন না তিনি। পার্লামেন্টে মোট আসন সংখ্যা ৭৫১।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি নির্ধারণ করাই পার্লামেন্ট সদস্যদের কাজ। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি মাসে ঠিক হয়েছিল, আগামী নির্বাচনের আগেই ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিযে যাবে। তাই আসন সংখ্যা কমিয়ে ৭০১ করে দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট না-হওয়ায় এ বারও ৭৫১টি আসনেই ভোট হবে। ভোট দেবেন ইউরোপীয় ইউিয়নের প্রতিটি সদস্য দেশের ভোটদাতারা। তবে ঘরোয়া রাজনীতির মতো এই ভোটাভোটুতি অতটা সাড়া মেলে না। সাধারণত ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ ইইউ ভোটার ভোট দিতে আসেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ইইউ-এর প্রতিটি দেশ অবশ্য একই দিনে ভোট দিচ্ছে না। ভোট চলবে ২৩ থেকে ২৬ মে। ২৬ তারিখেই ফল প্রকাশিত হবে। সাধারণত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনকে ইইউ-এর প্রতিটি সদস্য দেশের ঘরোয়া নির্বাচনের ‘প্রাক্-কথন’ বলে ভাবা হয়। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে ব্রিটেন বা জার্মানি বা ফ্রান্সের মতো দেশে ফলাফল কী হবে, তার একটি আভাস পাওয়া যায় এই নির্বাচন থেকে।

ইইউ-এর সঙ্গে বিচ্ছেদের টানাপড়েনে জেরবার ব্রিটেনবাসীর কাছে প্রচারের মূল বিষয় হিসেবে ব্রেক্সিটকেই তুলে ধরছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিচ্ছেদের পক্ষে প্রচার চালানো টেরেসা মে-র কনজ়ারভেটিভ পার্টি বা বিচ্ছেদ-বিরোধী জেরেমি করবিনের লেবার, যারা জিতবে তারাই নির্ধারণ করে দেবে ব্রেক্সিটের ভবিষ্যৎ।

Britain Brexit EU Election ব্রিটেন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy