আমেরিকার পর এ বার ব্রিটেন। অবৈধবাসীদের বিরুদ্ধে কড়া নীতি প্রণয়নের সক্রিয় হল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সরকার।
স্টার্মার সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন, অভিবাসন নীতি আরও কড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। অবৈধবাসীদের শনাক্ত করা এবং ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সক্রিয়তা আরও বাড়ানো হবে। যার জেরে আগামী চার বছরে তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদে অবৈধ অভিবাসনে উল্লেখযোগ্য ভাবে রাশ টানা যাবে বলে তাঁর দাবি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমরা ব্রিটেনকে অচেনা মানুষদের দ্বীপ হতে দেব না।’’
দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই জোর করে অবৈধবাসীদের ধরে ফেরত পাঠানোর নীতি চালু করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি লেবার পার্টির নেতা স্টার্মারের সরকারও অবৈধবাসীদের চিহ্নিতকরণ ও ধরপাকড় শুরু করেছে। এই আবহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সোমবার পার্লামেন্টে নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করে বলেন, ‘‘যাঁরা ব্রিটিশ নাগরিক হতে চান, তাঁদের এ বার নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য দ্বিগুণ সময় ব্রিটেনে থাকতে হবে।’’
স্টার্মারের নতুন অভিবাসন নীতির নেপথ্যে ভোটের রাজনীতির ভূমিকা দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। ব্রিটেনের রাজনীতিতে ক্রমশ মাথা তুলছে ‘রিফর্ম ইউকে’-র মতো কট্টর দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠী। কঠোর অভিবাসন নীতি প্রণয়নের কথা বলে সাম্প্রতিক উপনির্বাচন ও মেয়র নির্বাচনে চমকপ্রদ জয় পেয়েছে কট্টরপন্থী নেতা নেতা নাইজেল ফারাজের দল। এই পরিস্থিতিতে স্টার্মার সোমবার স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘অভিবাসনের হার বাড়লে আর্থিক বৃদ্ধির গতি বাড়ে, এমন তত্ত্ব আমি মানি না।’’