Advertisement
১২ অক্টোবর ২০২৪
Bangladesh Crisis

কার্ফু উঠলেও এখনই চালু হল না বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠন, ঢাকায় একাধিক থানা কার্যত ‘পুলিশশূন্য’

মঙ্গলবার কার্ফু সম্পূর্ণ শিথিল হতেই খুলেছে বেশির ভাগ অফিস। ব্যাঙ্কগুলি চালু হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুললেও পঠনপাঠন এখনও শুরু হয়নি।

Campus of Universities in Bangladesh are open as curfew ended, but academic process yet to start

মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রাস্তা। ছবি: রয়টার্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ১১:৩৮
Share: Save:

মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে কার্ফু প্রত্যাহার করা হয়েছে বাংলাদেশে। অফিস, কারখানা, স্কুল-কলেজ পুনরায় খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুললেও, এখনই শুরু হল না বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাভাবিক পঠনপাঠন। সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়াকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ক্যাম্পাস খোলা থাকলেও, পঠনপাঠনের প্রক্রিয়া এখনই চালু হচ্ছে না। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পরই পঠনপাঠন শুরুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। একই ছবি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও।

বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ আন্তর্বাহিনী জনসংযোগ দফতর সোমবার রাতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল, মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু কার্যকর থাকবে। এর পর মঙ্গলবার থেকেই স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, কারখানা খোলা যাবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। আন্তর্বাহিনী জনসংযোগ দফতরের বিজ্ঞপ্তির পর মঙ্গলবার থেকেই পদ্মাপারের বেশির ভাগ অফিস, আদালত খুলে গিয়েছে বলে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশিত হয়েছে। খুলেছে ব্যাঙ্কও। বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, অঞ্চলভিত্তিক ঝুঁকি বিবেচনা করে ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের শাখা খোলা রাখতে পারবে।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা এবং বাংলাদেশ থেকে পলায়নের পরও পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি। সোমবার বিকেলে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ় জ়ামান দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন এ সব থেকে বিরত থাকার জন্য। রাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহবুদ্দিনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার বার্তা দিয়েছেন।

তবে সোমবারেও রাতেও বেশ কিছু প্রান্ত থেকে অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ উঠে এসেছে। নাটোর ২-এর সাংসদ শফিকুল ইসলামের বাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ, মঙ্গলবার সকালে তাঁর বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।

সোমবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মাঝেই ঢাকায় ১৩টি থানা ও দু’টি সংশোধনাগারে হামলা চালানো ও বন্দিদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড্ডা, ভাটারা, যাত্রাবাড়ি, মহম্মদপুর-সহ একাধিক থানায়। সংবাদমাধ্যম ‘বিবিসি বাংলা’-য় প্রকাশ, ঢাকা শহরের বেশির ভাগ থানাতেই পুলিশের দেখা নেই সোমবার রাতের পরিস্থিতির পর।

যদিও মঙ্গলবার সকালে নতুন করে কোনও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির খবর মেলেনি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিতে। হাসিনার পলায়ন ও তার পরবর্তী এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই তুলে দেওয়া হল কার্ফু। শুরু হয় অফিস-কাছারি। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলি খুললেও এখনও চালু হয়নি পঠনপাঠন।

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Crisis Bangladesh bangladesh unrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE