১০-১২ তলা বা তার থেকেও অনেক উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে শহর দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এক বার ভাবুন তো, ইচ্ছে করল আর একটি সিঁড়ি বেয়ে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছে গেলেন! পৃথিবীর অপূর্ব ‘ভিউ’ দেখে কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার নীচেও নেমে এলেন। ভাবতেই কেমন একটা শিহরণ হচ্ছে না! আচ্ছা, আরও উপরে ওঠা যায় কি? এভারেস্টের থেকে আড়াই গুণ বা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার উঁচুতে? শুনতে কাল্পনিক মনে হলেও অন্টারিও-র থট টেকনোলজি কিন্তু ইতিমধ্যেই এমনই এক বিল্ডিংয়ের নকশা বানিয়ে ফেলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে স্পেস এলিভেটর। যার কাছে ১৬৩ তলার বুর্জ খলিফাও নস্যি!
কী এই স্পেস এলিভেটর?
একটি বিদ্যুৎচালিত সিঁড়ি। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার উঁচু। কানাডায় প্রস্তাবিত এই স্পেস এলিভেটরের মাথায় থাকবে একটি টাওয়ারও। যেখানে খুব সহজেই স্পেসক্র্যাফ্ট ওঠানামাও করতে পারবে। বিদ্যুৎচালিত সিঁড়ির মাধ্যমে নভশ্চরেরা ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উচ্চতায় উঠবেন। আর সেখান থেকেই রকেটে চড়ে রওনা দেবেন মহাকাশে। যাতে সাশ্রয় করা যাবে জ্বালানি খরচাও। থট টেকনোলজির অন্যতম কর্তা ব্রেনড্যান কোয়াইন এ ভাবেই নকশা তৈরি করেছেন এলিভেটরটির। তবে শুধু মহাকাশযান নয়, এলিভেটরটি খোলা থাকবে পর্যটকদের জন্যও।
শুধু তাই নয়, বায়ুশক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন-সহ নানা কাজে ব্যবহারও করা হবে। শুধু এটি তৈরির অপেক্ষা। তার পর পর্যটকদের আর্কষণের অন্যতম মূল কারণ হয়ে উঠতেও বেশি সময় লাগবে না এই এলিভেটরটির। ১৯৮৫ সালে রাশিয়ান এক বিজ্ঞানী প্রথম এই এলিভেটরটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু নানা সমস্যার জন্য প্রস্তাবটির অনুমোদন মেলেনি।
ছবি: থট টেকনোলজির সৌজন্যে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy