ছবি সংগৃহীত।
কখনও ভিড় থেকে বাঁচতে, কখনও বা গোপনে যাতায়াতের জন্য, বছরের পর বছর ধরে ওয়াশিংটনের ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিন রেললাইনটি পছন্দ ছিল আমেরিকার তাবড় রাজনীতিবিদের। দেশের প্রেসিডেন্ট, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, কখনও কখনও আবার জনপ্রিয় তারকা— আমেরিকার বহু নামজাদা মানুষ আসা-যাওয়া করেছেন এই পথ ধরে। অথচ গোপন এই সুড়ঙ্গ পথের হদিস জানা নেই সিংহভাগ আমেরিকাবাসীর।
প্রায় ৩ হাজার ফুট লম্বা এই রেলপথটির নাম ‘ক্যাপিটল সাবওয়ে সিস্টেম’। ১৯০৯ সালে এই রেলপথ চালু হয়। ক্যাপিটল ভবনের সঙ্গে কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেট অফিস ও নিম্ন কক্ষ হাউস অফিসকে যুক্ত করে এই সুড়ঙ্গপথটি। শান্ত সেই সফর-পথে রাজনৈতিক বিতর্ক থেকে সাংবাদিক বৈঠকও সেরে ফেলতেন নেতানেত্রীরা। ইতিহাসবিদ ড্যান হল্ট জানিয়েছেন, আমেরিকার ২৭তম প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্ট ১৯১১ সালের জানুয়ারিতে এক দিন হঠাৎ এক ঘণ্টার জন্য ওভাল অফিস থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। পরে তাঁকে এই সুড়ঙ্গ পথে দেখতে পাওয়া যায়। ওয়াশিংটন টাইমস লিখেছিল, ‘‘প্রেসিডেন্টকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এই খবরে ভয়ের একটা স্রোত শহর জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। যেন দাবানল লেগেছে এমন ভাবে অ্যালার্ম বাজছিল চারদিকে।’’
ড্যান বলেছেন, ‘‘বাচ্চাদেরও এই রাস্তা খুব পছন্দের ছিল। তাই অনেক সময়েই সেনেটররা পরিবারের লোকেদের নিয়ে এখানে আসতেন।’’ আমেরিকার বহু নামজাদা প্রেসিডেন্ট ও ভাবী প্রেসিডেন্টদের ছবি রয়েছে এই ট্রেনের ভিতরে।
১৯৪৭ সালে এই সুড়ঙ্গপথেই খুন করার চেষ্টা করা হয় ওহায়োর তৎকালীন সেনেটর ও প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জন ব্রিকারকে। উইলিয়াম কাইজ়ার নামে এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসার গুলি করে তাঁর মাথা লক্ষ্য করে। তবে নিশানা ব্যর্থ হওয়ায় বেঁচে যান ব্রিকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy