Advertisement
E-Paper

বাইডেন প্রশাসন নিয়ে আশায় চিন

চিনের বিরুদ্ধে বরাবরই রণং দেহি মনোভাব নিয়ে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪৯
—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

চলতি মাসেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন জো বাইডেন। তাঁর আমলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে বলে আশাবাদী চিন। শনিবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আশা প্রকাশ করেছেন, আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের বিরুদ্ধে যে ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’-এর নীতি নিয়েছিলেন, বাইডেনের আমলে তার অবসান ঘটবে। ‘বিচক্ষণ’ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করবেন ভাবী প্রেসিডেন্ট। ওয়াং ই-এর কথায়, ‘আশার নতুন জানালা খুলছে’।

চিনের বিরুদ্ধে বরাবরই রণং দেহি মনোভাব নিয়ে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাণিজ্য থেকে করোনা সংক্রমণ— সব ক্ষেত্রেই বেজিংকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যার জেরে দুই দেশের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে। গত কাল চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াং ই আশা প্রকাশ করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ককে স্বাভাবিক করবে এবং আবার আগের মতোই ফিরবে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা। ওয়াং ই বলেছেন, ‘‘চিন-আমেরিকার সম্পর্ক একটা নতুন সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে এবং আশার নতুন জানালা খুলছে।’’ তিনি মনে করেন, চিন সম্পর্কে আমেরিকার নীতিনির্ধারকদের ‘ভুল ধারণা’ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি করেছে। এর ফলে শুধু দুই দেশের মানুষের ক্ষতি হয়নি, গোটা বিশ্বের ক্ষতি হয়েছে। তাঁর আশা, বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন চিনের প্রতি বৈরি-মনোভাব নিয়ে চলবে না। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতির ক্ষেত্রে তারা ইতিবাচক পথেই হাঁটবে।

ওয়াং ই জানিয়েছেন, চিন সব সময় চায় আমেরিকার সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক। তিনি বলেন, ‘‘সমন্বয়, সহযোগিতা ও স্থায়িত্বের ভিত্তিতে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি চাই। আমরা জানি, চিনের দ্রুত উন্নতি আমেরিকার অস্বস্তির কারণ। কারও উন্নতির পথে বাধা তৈরি না-করে, নিজের উন্নতির দিকে নজর দেওয়াই এগিয়ে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায়।’’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা বিশ্বাস করি, আমেরিকা অতীত থেকে শিক্ষা নিলে, দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রে জমে থাকা মতপার্থক্যগুলি আলোচনার মাধ্যমে মিটবে এবং সহযোগিতার পথে হাঁটলে দুই দেশই উপকৃত হবে।’’

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে চিন। যা নিয়ে নিজের অসন্তোষ গোপন করেনি আমেরিকা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে ওয়াং ই-এর মন্তব্য, ‘‘চিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৌশলগত অংশীদার। শত্রু নয়।’’

China PRC Joe Biden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy