সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তানকে সহযোগিতার আশ্বাস চিনের। ফাইল চিত্র।
চিনে শীতকালীন অলিম্পকের অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাঁর দেশের জন্য ঋণ চেয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে। আর রবিবার দুই দেশের প্রধানের আলোচনার বিষয় ছিল পারস্পরিক সহযোগিতা। পাকিস্তান সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে চিন পাশে থাকবে বলে ইমরানকে আশ্বাস দিয়েছেন জিনপিং। দুই দেশের প্রধানই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (সিপিইসি)-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। উল্লেখ্য, পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে কারাকোরাম পেরনো প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কের একটি অংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে। যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
রবিবার বেজিংয়ে বৈঠক হয় জিনপিং ও ইমরানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, চিনের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে একাধিক প্রকল্পে কাজ করার আশ্বাস দেন। প্রযুক্তি, শিল্প এবং কৃষিতেও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে চিন। পাক সংবাদ সংস্থার আরও দাবি, জিনপিং বলেছেন, সারা পৃথিবী এক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে চিন-পাক সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্ব প্রকট হয়ে উঠেছে।
পাক সংবাদ সংস্থা আরও জানাচ্ছে, ভারতকে নিয়ে চিনের কাছে বেশ কিছু অনুযোগ করেছেন ইমরান। নয়া দিল্লি নিয়ে একই অভিযোগ তিনি চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খছিয়াংয়েরও কানে তুলেছেন বলে খবর।
প্রসঙ্গত, শনিবার পাক প্রধানমন্ত্রী পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে বিতর্কিত চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে চিনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ খুরেশি, অর্থমন্ত্রী শওকত তারিন, তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরীও ইমরান খানের সঙ্গে চিনে রয়েছেন। পাক প্রধানমন্ত্রীকে জ্বালানি, পরিশোধন, পেট্রোকেমিক্যাল, পরিকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আবাসনক্ষেত্রে চিনা প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের বিনিয়োগ নিয়েও জিনপিং আশ্বাস দেন বলে দাবি সে দেশের সংবাদ সংস্থার। পাশাপাশি, ৩০০ কোটি টাকার অনুদানের জন্য চিনের কাছে আবেদন জানিয়েছে পাক সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy