Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Covid in China

এক সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার জনের মৃত্যু! চিনা নববর্ষের জমায়েতে চিন্তায় বেজিং

একটি সমীক্ষক সংস্থার হিসাবে, নববর্ষের জমায়েতের কারণে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬ হাজার ছুঁতে পারে। সংস্থাটির হিসাবে কোভিডের কারণে চিনে এখনও পর্যন্ত ৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এক সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার জনের মৃত্যু চিনে!

এক সপ্তাহে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৩ হাজার জনের মৃত্যু চিনে!

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:২৮
Share: Save:

সরকারি তরফে বলা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণে এসেছে কোভিড পরিস্থিতি। কিন্তু চিনে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সে দেশের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে সে দেশে ১৩ হাজার মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ওই আধিকারিক এ-ও জানিয়েছেন যে, শূন্য কোভিড নীতি তুলে নেওয়ার পর সে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।

চিনের ‘ডিজ়িজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনে’র তরফে গত শনিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ১৩ হাজার জনের মধ্যে ৬৮১ জন সরাসরি কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। বাকি ১১ হাজার ৯৭৭ জনও কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন, তবে তাঁদের অন্যান্য শারীরিক সমস্যা ছিল। অবশ্য বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকা নাগরিকদের কত জন মারা গিয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি এই বিবৃতিতে।

চিনে বর্তমানে চান্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে উৎসব উদ্‌যাপন চলছে। কঠোর কোভিড নীতি উঠে যাওয়ায় দীর্ঘ দিন পরে দেশের নানা শহরে হইহুল্লোড়ে মেতেছে জনতা। এ অবস্থায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছে বেজিং প্রশাসন। একটি নিরপেক্ষ সমীক্ষক সংস্থার হিসাবে, এই হুল্লোড় এবং জমায়েতের কারণে সে দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩৬ হাজার হতে পারে। ওই সমীক্ষক সংস্থাটির হিসাব বলছে কোভিড নীতি শিথিল করার পর সে দেশে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়াগুলির একাংশের দাবি, চিন যদি প্রথম থেকে কোভিডে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনত, তবে হয়তো সম্ভাব্য এই বিপর্যয় এড়ানো যেত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE