Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Taiwan

চিনকে ঠেকাতে এ বার তাইওয়ানকে ৯,০০০ কোটি টাকার অস্ত্র আমেরিকার! প্রস্তাবে সায় কংগ্রেসের

পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানকে দেওয়া নয়া সামরিক সহায়তার মধ্যে থাকছে ৫,৩০০ কোটি টাকার ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’। রয়েছে ২,৮৩০ কোটি টাকার ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্রও।

তাইওয়ান সেনাকে অস্ত্র সহায়তা পাঠাচ্ছেন জো বাইডেন।

তাইওয়ান সেনাকে অস্ত্র সহায়তা পাঠাচ্ছেন জো বাইডেন। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:১১
Share: Save:

চিনা হামলা ঠেকানোর জন্য তাইওয়ানে সামরিক সাহায্য পাঠাতে সক্রিয় হল আমেরিকা। শুক্রবার আমেরিকার কংগ্রেসে তাইওয়ানকে ১১০ কোটি ডলার (প্রায় ৮,৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘দ্বীপরাষ্ট্র’ তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তার ওই প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকার আইনসভা।

পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, তাইওয়ানকে দেওয়া নয়া সামরিক সহায়তার মধ্যে থাকছে ৬৬ কোটি ৫০ লক্ষ ডলারের (প্রায় ৫,৩০০ কোটি টাকা) ‘রাডার ওয়ার্নিং সিস্টেম’। এর মাধ্যমে চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মির ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আগেভাগেই চিহ্নিত করা যাবে। ফলে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থার সাহায্যে তা ধ্বংস করতে পারবে তাইওয়ান সেনা। এ ছাড়া রয়েছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলারের (প্রায় ২,৮৩০ কোটি টাকা) ৬০টি জাহাজ বিধ্বংসী হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র। তাইওয়ানকে দেওয়া আমেরিকার যুদ্ধবিমান এফ-১৬ থেকে যা ব্যবহার করা সম্ভব।

চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে গত ২ অগস্ট তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন ন্যান্সি। তার পর থেকেই তাইওয়ান প্রণালী এবং পাশের চিন সাগরে বেজিং সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে। এই পরিস্থিতিতে চিনা হামলার আশঙ্কা করছে তাইওয়ান। চিনা যুদ্ধবিমান এবং রণতরীর ভয়ে তাইওয়ান প্রণালীতে বাণিজ্যিক উড়ান এবং নৌচলাচল কার্যত বন্ধ। তাইওয়ানের দাবি, তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন পাঁচটি চিনা যুদ্ধজাহাজ এবং ২১টি যুদ্ধবিমানের গতিবিধি তাদের নজরে রয়েছে। ফলে তাইওয়ান প্রণালী এবং দক্ষিণ চিন সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের যাতায়াতও কমেছে।

উত্তেজনার এই আবহে তাইওয়ানকে সাহায্য করতে সক্রিয় হয়েছে আমেরিকা। আমেরিকা নৌবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিয়েটাম এবং ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে অবস্থান নিয়েছে তাইওয়ান প্রণালীতে। অদূরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগন, ডেস্ট্রয়ার গোত্রের রণতরী ইউএসএস হিগিন্‌স এবং দ্রুত সেনা অবতরণের উপযোগী রণতরী ইউএসএস ত্রিপোলিও মোতায়েন করেছে আমেরিকার সপ্তম নৌবহর।

এরই পাশাপাশি তাইওয়ান উপকূলের পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ-মহড়া শুরু করেছে আমেরিকা। চিনা উপকূলের অদূরে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ওরিয়েন্ট শিল্ড’ নামে এই যুদ্ধ মহড়ায় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের পাশাপাশি অংশ নিয়েছে স্থলসেনার বিশেষ এয়ারবোর্ন ডিভিশন এবং আর্টিলারি ব্রিগেড। তাইওয়ান প্রণালীতে চিনের সম্ভাব্য হামলা রোখার জন্যই পেন্টাগনের এই ‘প্রস্তুতি’ বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE