তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে সংঘাতে চিন এবং জাপান। শুক্রবার চিনা প্রতিরক্ষা দফতর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তাইওয়ান পরিস্থিতি নিয়ে নাক গলানো বন্ধ না করলে ‘ধ্বংসাত্মক সামরিক পদক্ষেপের’ মুখে পড়বে জাপান। জবাবে শুক্রবার রাতেই (ভারতীয় সময়) চিনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে কড়া কূটনৈতিক বার্তা দিয়েছে টোকিয়ো।
দ্বিপাক্ষিক সংঘাতের আবহে শনিবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার সে দেশের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ স্থগিত রাখার ‘পরামর্শ’ দিয়েছে। প্রসঙ্গত, জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি সম্প্রতি সে দেশের পার্লামেন্টে বলেছিলেন, ‘‘চিন যদি তাইওয়ানে সেনা অভিযান চালায়, তবে জাপানের অস্তিত্বও সঙ্কটের মুখে পড়বে। সে ক্ষেত্রে আমাদের পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ করতে হবে।’’ তাঁর ওই মন্তব্যের পরেই বেজিং-টোকিয়ো টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত তিন বছরে একাধিক বার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে তাইওয়ানের জল এবং আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বেজিং। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করে চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল। সে সময় পূর্ব চিন সাগর থেকে কয়েকটি জাপানি যুদ্ধজাহাজও তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথম বার তাইওয়ান প্রণালীতে জাপানি যুদ্ধজাহাজের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘিরে দু’দেশের সংঘাতের শুরু হয়।