সারা বিশ্বের অর্থনীতির বড় ক্ষতি করলেও চিনের অর্থনীতির উপর খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি কোভিড। তা ফের প্রমাণিত হল। অতিমারির অতীত পিছনে ফেলে ২০২৮ সালেই আমেরিকাকে ছাপিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসবে চিন। নিজেদের বার্ষিক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করল ব্রিটেনের অন্যতম শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ‘সেন্টার ফর ইকনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’। এর আগে, ডিসেম্বরের শুরুতে একই ইঙ্গিত দিয়েছিল জাপানের সেন্টার ফর ইকনমিক রিসার্চ। তারা জানিয়েছিল, ২০২৮ অথবা ’২৯ সালের মধ্যেই আমেরিকাকে ছাপিয়ে যাবে চিন।
আর্থিক শক্তিবৃদ্ধির নিরিখে বিশ্বের অন্যতম দুই ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টালেও, বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে জাপানের অবস্থান পাল্টানোর তেমন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের ওই সংস্থা। তবে ২০৩০ সালের শুরুর দিকে তাদের টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারে ভারত। সে ক্ষেত্রে জার্মানি চতুর্থ থেকে পঞ্চম স্থানে চলে আসতে পারে। এই মুহূর্তে বিশ্বতালিকায় ব্রিটেন পঞ্চম স্থানে রয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ তারা ষষ্ঠ স্থানে নেমে যেতে পারে।
ওই রিপোর্টের দাবি, কোভিড অতিমারি চলা সত্ত্বেও ছন্দেই রয়েছে চিনের অর্থনীতি। অন্যদিকে, আমেরিকার অর্থনীতি এখনও বিশ বাঁও জলে। এই ফারাকের জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে লাভবান হবে চিন। কারণ চিনের বর্তমান মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে তেমন হেরফের হয়নি কোভিডের ফলে। ওই রিপোর্ট দাবি করেছে, ২০২০ সালে বিশ্বের সব দেশের অর্থনীতি যখন ঝিমোচ্ছে, তখন চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়বে। অন্য দিকে, আমেরিকার অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে প্রায় ৫ শতাংশ। এই ফারাকই এগিয়ে দেবে চিনকে।