লাদাখ সীমান্তে পিএলএর সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। — ফাইল ছবি।
লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-এর সঙ্গে কথা বললেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পদাধিকার অনুযায়ী তিনি পিএলএ-রও প্রধান। গত বুধবার রাজধানী বেজিংয়ে পিএলএ-র সদর দফতর থেকে ভিডিয়ো মারফত জিনপিং কথা বলেন পূর্ব লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন চিনের সেনার সঙ্গে। যুদ্ধের জন্য সেনা প্রস্তুত রয়েছে কি না তারও খোঁজ নেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক।
চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জিনপিং পিএলএ সদর দফতর থেকে ‘জ়িনজিয়াং মিলিটারি কম্যান্ডে’র অন্তর্গত খুনজেরাবের সীমান্ত রক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত সেনাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। স্মরণাতীত কালের মধ্যে চিনের প্রেসিডেন্টকে ওই এলাকার সেনাকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতার কথা মনে করতে পারছেন না কেউ। ভৌগোলিক ভাবে এই অঞ্চলে সরাসরি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের অবস্থান নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিতর্কও রয়েছে। ফলে জিনপিংয়ের এই আলাপচারিতার তাৎপর্য বিপুল বলেই মনে করা হচ্ছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জিনপিং সেনাকর্মীদের যুদ্ধ প্রস্তুতি খতিয়ে জানতে চান। যে কোনও সময় যুদ্ধ লাগলে কী ভাবে প্রত্যাঘাত, কথা বলে তা-ও জেনে নেন।
জানা গিয়েছে, সেনাকর্মীদের জিনপিং বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক কয়েক বছরে এই এলাকা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে সেনার উপরও।’’ খুনজেরাবের ওই কেন্দ্রে হাজির এক সেনাকর্মী জিনপিংকে জানান, তাঁরা ইদানীং ২৪ ঘণ্টাই সীমান্ত নজরদারির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। শুনে দৃশ্যতই খুশি জিনপিং তাঁদের পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘‘আপনারা সবাই তাজা শাক, সব্জি পাচ্ছেন তো?’’ প্রসঙ্গত, ওই এলাকায় কোনও কিছুই উৎপাদন হয় না। তাই খাবার থেকে শুরু করে পানীয় জল— সবই আনতে হয় সমতল থেকে। জিনপিং সেনাকর্মীদের উৎসাহিতও করেন।
২০২০-এর ৫ মে, পূর্ব লাদাখে ভারতীয় সেনা এবং পিএলএ নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তাতে দু’তরফেই বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পরই ভারতের সঙ্গে চিনের সীমান্ত বিবাদ নয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়। দুই দেশের মধ্যে তার পর উত্তেজনা প্রশমনে ১৭ বার সামরিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সমাধান হয়নি। এই প্রেক্ষিতে পূর্ব লাদাখে মোতায়েন চিনের সেনার সঙ্গে সেনা সর্বাধিনায়কের ভিডিয়ো কথোপকথনের তাৎপর্য যে বিপুল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy