চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত সেই যুবক নয়ন (বাঁ দিকে)। ডিপোতে দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন। ছবি সৌজন্য ঢাকা ট্রিবিউন।
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছেছে যে যুবকের ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে, সেই আগুনেই ঝলসে মৃত্যু হল তাঁর। মৃতের নাম আলিউর রহমান ওরফে নয়ন। তিনিও ওই ডিপোর এক জন কর্মী।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন বছর কুড়ির নয়ন। সবাই যখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে এ দিক ও দিক ছুটছিলেন, সেই ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করছিলেন নয়ন। হঠাৎই একটা জোরালো বিস্ফোরণ হয়। তার পর সব অন্ধকার হয়ে যায়। নয়নের ফেসবুক লাইভেও সেই দৃশ্য ধরা পড়ে। তার পর পরই সেই লাইভ বন্ধ হয়ে যায়।
চারপাশে তখন অন্ধকার। কে কোথায় ছিটকে গিয়েছে, তার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়নি নয়নকেও। ঢাকা ট্রিবিউন-কে নয়নের খুড়তুতো ভাই জুনাব আলি বলেন, “বিস্ফোরণের লাইভ করার সময় আলিউরকে টেনে সরিয়ে নিয়ে আসতে চাইলেও ও আসেনি। এর পরই হঠাৎ বিস্ফোরণে সব অন্ধকার হয়ে যায়। তার পর থেকেই নয়নের সঙ্গে ফোনে আর যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।”
নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া নয়নের সেই ভিডিয়োতে লাইভের ৪০ মিনিটের মাথায় বিস্ফোরণ হতে দেখা যায়। তার পরে লাইভ আরও ৪ মিনিট চলেছিল। কিন্তু সেই সময়ের ভিডিয়ো পুরোটাই অন্ধকার। নয়নের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ করতেই নয়নের দেহ মেলে। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কন্টেনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। রবিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত সেই ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত দেড়শোরও বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy