প্রতীকী চিত্র।
কেউ পাচ্ছে না, কেউ পেয়েও নিচ্ছে না। বিশ্বের টিকাকরণের সার্বিক ছবিটা অনেকাংশে এ রকমই।
সম্প্রতি আমেরিকা সরকার জানায়, দেশটা দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক ভাগ টিকা পেয়েছে। অন্য ভাগ ‘নেয়নি’। এমনটাই বলছে প্রশাসন। এ দেশে কয়েক কোটি মানুষ কোভিড-টিকা নিতে অনিচ্ছুক। উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছেন, এ বারে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকা নেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। অফিসে টিকাকরণ কেন্দ্র গঠন করা হবে। যাতে অফিসের কর্মীরা টিকা নেন।
বিশ্বের প্রথম সারির একটি দেশে যখন টিকা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাকুতি-মিনতি, তখন গরিব দেশগুলো বৈষম্যের শিকার। টিকা পাচ্ছে না তারা। আফ্রিকার অধিকাংশ দেশ প্রতিষেধকের অভাবে ধুঁকছে। টিকা নেই, টিকা দেওয়ার মতো স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও নেই। এশিয়ার দরিদ্র দেশগুলোও ভুগছে। যেমন, তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম। এই দেশগুলি এশিয়ার উৎপাদন শিল্পের হাব। অসংখ্য কারখানা। আশ্চর্যজনক ভাবে গত বছর এই সব দেশে সংক্রমণ কম ছিল। কিন্তু এই বছর বসন্তে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া থেকে তাইওয়ান— অসংখ্য কারখানা-কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উৎপাদন থমকে। বন্ধ বহু কারখানা। এর অন্যতম কারণ টিকা না-পাওয়া এবং অতিসংক্রামক স্ট্রেনের আবির্ভাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy