মানবিজ়ের পরে এ বার সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোয় সেনাবাহিনীর এবং সরকার মদতপুষ্ট কট্টরপন্থী সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আকস্মিক হামলা চালাল ইজ়রায়েল সমর্থিত বিদ্রোহী বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স’ (এসডিএফ)। রবিবার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত উভয় পক্ষেরই কয়েক জন হতাহত হয়েছেন বলে পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যম আল জাজ়িরা জানিয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার আলেপ্পোয় নিহত হয়েছেন দু’জন।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর শিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করেছিল তুরস্কের মদতপুষ্ট সুন্নি সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট প্রাণ বাঁচাতে সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যান। তবে এখনও পশ্চিমে ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী এলাকার কিছু অংশ প্রাক্তন সরকারের অনুগত সেনা ও মিলিশিয়া বাহিনীর দখলে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কিছু অংশে সক্রিয় ইজ়রায়েলের মদতপুষ্ট গণতন্ত্রপন্থী এসডিএফ বাহিনী। মূলত সংখ্যালঘু কুর্দ জনগোষ্ঠীর যোদ্ধারা রয়েছেন এই বাহিনীতে। আসাদ সরকারের পতনের পরেই সিরিয়ায় বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। হামলায় সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সেনা শিবির, প্রতিরক্ষা গবেষণাগার এবং সামরিক কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছিল। এর মধ্যে বিমানবন্দর, অস্ত্র ও গোলাবারুদের ভান্ডার, রেডার স্টেশন, সামরিক সিগন্যাল স্টেশন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও গণবিধ্বংসী অস্ত্রের গবেষণাগার ছিল।
এইচটিএস বাহিনী যাতে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তির নাগাল না পায়, তা নিশ্চিত করতেই তেল আভিভের এই ‘তৎপরতা’ বলে মনে করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে সিরিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট হেরমন এবং গোলান মালভূমির কিছু অংশও সে সময় নেতানিয়াহুর বাহিনী দখল করেছিল। ১৯৭৪ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর সিরিয়া ও ইজ়রায়েল সীমান্তে বাফার জ়োন তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদলের পরে একতরফা ভাবে সেই বাফার জ়োন দখল করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। এ বার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এসডিএফ গোষ্ঠীর সাহায্যে সীমান্তবর্তী এলাকার দখল