একবিংশ শতকে এটাও হয়! গত চার বছর ধরে জিম্বাবোয়েতে কুত্সিততম পুরুষ বেছে নেওয়ার প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয়, এই ধরনের অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। কম নয় উত্সাহী দর্শকও। উত্সাহ এতটাই তীব্র যে এই বছরের ‘মিস্টার আগলি’-র নাম ঘোষণার পর তা নিয়ে রীতিমত খণ্ড যুদ্ধ বেধে গেল।
গত তিন বছর এই শিরোপা পেয়ে আসছেন উইলিয়াম মাসভিনু। এই বছরও হট ফেভারিট ছিলেন তিনিই। কিন্তু শনিবার তাঁকে হারিয়ে এই খেতাব জিতে নেন ৪২ বছরের মিসোন সেরে। আর তাতেই বাধে গোলমাল। মাসভিনু ও তাঁর সমর্থকরা বিচারকদের ঘিরে হাঙ্গামা শুরু করে দেন। অভিযোগ তোলেন এই খেতাব জেতার পক্ষে নাকি বড্ড বেশি ‘সুদর্শন’ সেরে।
‘‘আমিই সবচেয়ে কুত্সিত, সেরে নয়। মুখ খুললে তবেই ওর ভাঙা দাঁতের সারির দেখা মেলে। আর তখনই ওকে কুত্সিত লাগে’’— মন্তব্য ক্ষুব্ধ মাসভিনুর। প্রতিযোগিতায় জেতার জন্য সেরে নিজেই দাঁত ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘‘এ ভাবে দাঁত ভেঙে প্রতিযোগিতা জেতা আসলে চিটিং।”
এ সবে অবশ্য কান দিতে রাজি নন সেরে। সাফ জানিয়েছেন ‘‘আমি ওর থেকে বেশি কুত্সিত। এই সহজ সত্যিটা এ বার মাসভানুর স্বীকার করে নেওয়া উচিত্।’’
প্রতিযোগিতা জিতে এখন তাঁর পকেটে নগদ ৫০০ মার্কিন ডলার। শীঘ্রই কোনও টেলিভিশন চ্যানেলে শো করার ডাক পাবেন বলেও আশা করছেন তিনি।
২০১২ থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিযোগীর সংখ্যা। কিন্তু কেন এই ধরনের বেশ কদর্য প্রতিযোগিতা নিয়ে এত উত্সাহ? এর পিছনে অনেকটাই দায়ী জিম্বাবোয়ের বর্তমান আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি। বেশির ভাগ প্রতিযোগীই অত্যন্ত দরিদ্র। পুরস্কার মূল্য তাঁদের পক্ষে নেহাত কম নয়। জিতলে মেলে টিভি শোতে মুখ দেখানোর সুযোগও। সে দেশে এই ধরনের সুযোগ বড় একটা মেলে না। তাই প্রতি বছর নিজেকে কুত্সিততম প্রমাণের হিড়িক বেড়েই চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy