ছবি: এএফপি।
যেমনটা ভাবা হয়েছিল, ঘটছে তেমনটাই। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যার হিসেবে চিনকে এ বার টপকে গেল স্পেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৩৮ জনের মৃত্যুর পরে আজ সেখানে মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩,৪৩৪। সংখ্যার নিরিখে ইটালি এখনও এগিয়ে থাকলেও স্পেন এ বার দ্বিতীয় স্থানে। কোভিড-১৯-এর জেরে স্পেনে লকডাউন ১১ দিনে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের উপরে।
স্পেনের পাশাপাশি ক্রমশ জটিল হচ্ছে নিউ ইয়র্কের পরিস্থিতি। আমেরিকায় করোনার ভরকেন্দ্র হয়ে উঠছে অন্যতম বড় শহর নিউ ইয়র্ক। এখানে আক্রান্ত ৩০ হাজারের বেশি। আগামী তিন সপ্তাহে আমেরিকায় আক্রান্তের গ্রাফ শীর্ষে উঠবে বলে দাবি। আপাতত ২ লক্ষ কোটি ডলারের বিশেষ প্যাকেজ নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পেরেছেন দেশের নেতারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেছেন, বিশ্বে নোভেল করোনাভাইরাসের ভরকেন্দ্র এরপরে যাতে গোটা আমেরিকা হয়ে না ওঠে, তার জন্য শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সম্ভাবনা আছে। তবে ছবিটা বদলানোর জন্য এখনও হাতে কিছুটা সময়ও রয়েছে।’’ আমেরিকায় নতুন করে আক্রান্ত আরও ২২৫ জন। মৃতের মোট সংখ্যা ৭৮৫। আক্রান্তের সংখ্যা গত কালই ৫০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
জাপানে কিছু দিন আগে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে ছিল বলা হলেও টোকিয়োর গভর্নর ইউরিকো কোইকে আজ জনতার উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘এখন খুব বুঝেশুনে চলতে হবে। বাড়ি থেকে যতটা সম্ভব কম বার হন।’’ আজ ৪১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি কোইকের।
করোনা-সঙ্কটের মুখে চাপ বাড়ানো সত্ত্বেও সারা দেশে লকডাউনের প্রস্তাবে এখনও রাজি নন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর বক্তব্য, পাকিস্তানে ২৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে বাস করেন। সারা দেশ গৃহবন্দি হলে ওই শতাংশের মানুষ বিপদে পড়বেন। এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানে সব অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা হয়েছে, ট্রেন চলাচলেও নিষেধ রয়েছে, বন্ধ বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যে সংযোগকারী জাতীয় সড়কগুলি। কিন্তু সরকারের অনুরোধ সত্ত্বেও এখনও মসজিদগুলি বন্ধ করা হয়নি। সেখানে প্রচুর মানুষের ভিড় আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে। পাক স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। দশ দিন আগেও এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৫৩। মারা গিয়েছেন ৭ জন।
করোনার প্রকোপে রাশিয়ায় পিছিয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ভোট। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় রাখতে সাংবিধানিক সংশোধন নিয়ে ভোট হওয়ার কথা ছিল ২২ এপ্রিল। আজই রাশিয়ায় ১৬৩ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৬৫৮। রাশিয়ায় এখনও কেউ করোনার বলি হননি। পুতিন বলেছেন, ‘‘এখন স্বাস্থ্য, মানুষের জীবন ও নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়ার সময়। তাই আমি ভোট পিছিয়ে দেওয়াই শ্রেয় মনে করছি।’’
আগামী কাল থেকে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে তাইল্যান্ডেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy