প্রতীকী ছবি
চিনের সঙ্গে করোনা-তরজা চলছেই। এ দিকে লকডাউন তোলার দাবিতে রোজই রাস্তায় নামছেন মার্কিন নাগরিকের একাংশ। এরই মধ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাপিয়ে গেল আমেরিকায়। সংখ্যাটা দাঁড়াল, ৪০,৬১৫-য়। এক দিনেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় দু’হাজারের। আক্রান্ত মোট ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৮১। গত কালও লকডাউন খারিজের দাবিতে ওয়াশিংটনের রাস্তায় নেমেছিলেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। পারস্পরিক দূরত্ববিধি শিকেয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য নিজের ‘রেকর্ড’ প্রচারেই ব্যস্ত। তাঁর দাবি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারতের দশটা দেশ মোট যে-করোনা পরীক্ষা করিয়েছে, আমেরিকায় পরীক্ষা হয়েছে তার থেকেও বেশি। প্রায় ৪২ লক্ষের করোনা-পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুমিছিল ঠেকানো যাচ্ছে না কেন? উত্তর নেই। কোভিড-১৯ চিনের ‘ইচ্ছাকৃত হামলা’ হলে তার ফল ভুগতে হবে বলে শনিবারই হুমকি দেন ট্রাম্প। কাল ইঙ্গিত দিলেন, এ বার তিনি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়ে চিনের বিরুদ্ধে তদন্তে নামতে চান। তদন্ত চেয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল আবার আজই চিনের কাছে করোনার উৎপত্তি নিয়ে যথাযথ তথ্য চেয়েছেন।
আমেরিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নিউ ইয়র্ক প্রদেশের। তবে গত দু’সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম বার নিউ ইয়র্কে দৈনিক মৃত্যু ৫৫০-এর কম বলে জানিয়েছেন গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো। করোনায় কাবু ইউরোপও। ভাইরাস-সংক্রমণের জন্য চিনকেই দায়ী করেছে জার্মানির এক সংবাদমাধ্যমও। পর্যটন, উৎপাদন, শিল্প-সহ বিভিন্ন খাতে করোনার জেরে হওয়া লোকসানের খতিয়ান তুলে ধরে চিনের থেকে ১৩ হাজার কোটি পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তারা।
আরও পড়ুন: অতিমারির উৎস কি উহানের ল্যাব
ইটালি থেকে অবশ্য আজ ভাল খবর। এক দিনের ব্যবধানে সে দেশে প্রায় ৮০০ কম সংক্রমণ ধরা পড়েছে আজ।নতুন সংক্রমিত ২২৫৬— গত এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। দেশবাসী আর কত দিন লকডাউনে থাকতে পারবেন, তা জানতে সরকারি তরফে মন-সমীক্ষণের আর্জি জানায় ইটালীয় বিজ্ঞানীদের একাংশ।
স্বস্তি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পেশ করা রবিবারের পরিসংখ্যানও। বিশ্বে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৪ হাজার কমে ৮১ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও হু-এর প্রধানের আশঙ্কা, কয়েকটি দেশ যে ভাবে লকডাউন তোলা বা বিধিনিষেধ শিথিলের কথা বলছে, তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। এরই মধ্যে বহাল পিপিই-সঙ্কট। সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য বর্মবস্ত্রের দাবিতে আজই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক অন্তঃসত্ত্বা চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: বন্দুকবাজের গুলিতে কানাডায় নিহত ১৬
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy