Advertisement
E-Paper

‘সর্বোচ্চ সঙ্কট’, কঠোর বহু দেশ

আক্রান্তের হিসেব অনুযায়ী সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইটালির উত্তর অংশের। সেখানে ৬৫০ জনের শরীরে ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু আশার কথা শোনাচ্ছেন ইটালির সরকারি আধিকারিকেরা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

চিন-সীমান্ত পেরিয়ে ক্রমশই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে নোভেল করোনাভাইরাস। অন্ততটি ৫৭টি দেশ ভাইরাস-আক্রান্ত। এক এক করে সংক্রমণের খবর মিলছে বেলারুশ, লিথুয়ানিয়া, নিউজ়িল্যান্ড, নাইজিরিয়া, নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ থেকেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আজ জানিয়েছে, সঙ্কট সর্বোচ্চমাত্রা ছুঁয়েছে।

আক্রান্তের হিসেব অনুযায়ী সব চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ইটালির উত্তর অংশের। সেখানে ৬৫০ জনের শরীরে ভাইরাস মিলেছে। কিন্তু আশার কথা শোনাচ্ছেন ইটালির সরকারি আধিকারিকেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘অনেকের দেহে ভাইরাস মিললেও তা শরীরস্বাস্থ্য তেমন কাবু হয়ে পড়েনি। মোটের উপরে ঠিক আছেন তাঁরা। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফেরা।’’ এ অবস্থায় স্কুল-কলেজ ফের চালু করার কথা ভাবছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে মিউজ়িয়াম। কিন্তু ইটালি ঘুরে দাঁড়ানোর কথা ভাবলেও বহু দেশই কড়াকড়ি শুরু করেছে। যেমন, করোনা সন্দেহে জার্মানিতে ‘নজরবন্দি’ রাখা হয়েছে হাজার খানেক বাসিন্দাকে। যে কোনও ধরনের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সুইৎজ়ারল্যান্ড। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ জানানো হয়েছে, হাজারের বেশি মানুষ ভিড় করতে পারেন, এ ধরনের কোনও অনুষ্ঠান ১৫ মার্চ পর্যন্ত করা যাবে না। আগামী সপ্তাহ থেকে ‘জেনিভা মোটর শো’ শুরু হওয়ার কথা ছিল। আজ সেই অনুষ্ঠান বাতিল করে দেন কর্তৃপক্ষ। জাপানেও আজ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত ‘টোকিয়ো ডিজ়নিল্যান্ড’ ও ‘টোকিয়ো ডিজ়নি-সি’ বন্ধ করে দেওয়া হল। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় গানের দল কে-পপও তাদের কনসার্ট বাতিল করে দিয়েছে। এপ্রিল মাসে ওই কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। চিনের সঙ্গে ভারতের বিমান যোগাযোগ বন্ধই রয়েছে। এ বার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানেও সাময়িক ভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত সরকার। ভারতের এ পর্যন্ত তিন জনের (সকলেই চিন-ফেরত) শরীরে ভাইরাসটি মিলেছিল। তাঁরা এখন সুস্থ। কিন্তু একশো কোটির দেশ, তাই আজ এক মার্কিন রিপোর্টে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে ভারতকে।

চিনে মৃতের সংখ্যা ২৭৮৮। দৈনিক মৃত্যু-হার কমলেও দীর্ঘ বন্দি-জীবনে হাঁফিয়ে উঠেছেন উহানের বাসিন্দারা। ২৯ বছর বয়সি তরুণী গুয়ো জিং বলেন, ‘‘আরও একটা মাস এ ভাবে কাটাতে হলে অসুবিধা নেই। খাবার মজুত রয়েছে। কিন্তু তার পরে কী হবে ভেবে ভয় লাগছে।’’ আগে তিন দিন অন্তর এক দিন কমপাউন্ড থেকে বেরোতে পারতেন তাঁরা। মৃতের সংখ্যা ২৫০০ পেরিয়ে যাওয়ার পরে এখন সেটাও নিষেধ। হুবেই প্রদেশের উহানে এ ভাবেই দিন কাটাচ্ছেন ১ কোটি ১০ লক্ষ বাসিন্দা। আর এক বাসিন্দা প্যান হংশেং বলেন, ‘‘বাড়িতে মজুত রাখা খাবার ফুরিয়ে গেলে কী করব, কোথা থেকে কিনব, কিছু জানি না।’’ স্ত্রী, দুই শিশু-সন্তানকে নিয়ে উহানে থাকেন প্যান। ছোট জনের বয়স ৩ বছর। বললেন, ‘‘আর ক’দিন বাদেই বাচ্চার গুঁড়ো দুধ ফুরিয়ে যাবে। নিজের শহরেই নিজেকে শরণার্থী মনে হচ্ছে।’’

Coronavirus China
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy