Advertisement
E-Paper

৭১ বছরের পাত্রীর সঙ্গে ২১ বছরের পাত্রের বিয়েতে বাধ সাধল আদালত

প্রেমের কাহিনিটা এক্কেবারে অন্য রকম। বছর তিনেক আগে আলাপ ফেসবুকে। প্রেমিকার বাস সুইত্‌জারল্যান্ডে, আর প্রেমিক থাকেন সুদূর তিউনিশিয়ায়। প্রেমিকার শরীরের চামড়া বয়সের কারণে এখন অনেকটাই কুঁচকে গিয়েছে। চুলে ধরেছে পাক। সারা শরীরের বলিরেখা জানান দিচ্ছে ৭১টা বসন্ত পেরিয়ে এসেছে সে। আর প্রেমিক ২১ বছরের তরতাজা যুবক। সবে কৈশোর থেকে উদ্দাম যৌবনের কোঠায় পা দিয়েছে। তাঁদের ফেসবুকের আলাপ ধীরে ধীরে কখন যে ভালবাসার রূপ নিয়েছে তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না।

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৬ ১৬:১৩

প্রেমের কাহিনিটা এক্কেবারে অন্য রকম। বছর তিনেক আগে আলাপ ফেসবুকে। প্রেমিকার বাস সুইত্‌জারল্যান্ডে, আর প্রেমিক থাকেন সুদূর তিউনিশিয়ায়। প্রেমিকার শরীরের চামড়া বয়সের কারণে এখন অনেকটাই কুঁচকে গিয়েছে। চুলে ধরেছে পাক। সারা শরীরের বলিরেখা জানান দিচ্ছে ৭১টা বসন্ত পেরিয়ে এসেছে সে। আর প্রেমিক ২১ বছরের তরতাজা যুবক। সবে কৈশোর থেকে উদ্দাম যৌবনের কোঠায় পা দিয়েছে। তাঁদের ফেসবুকের আলাপ ধীরে ধীরে কখন যে ভালবাসার রূপ নিয়েছে তা তাঁরা নিজেরাও জানেন না। একদিন তাঁরা দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন। আর সেই মতো তিউনিশিয়ায় সুইতজারল্যান্ড দূতাবাসে আবেদন করেন ওই পৌঢ়া। খবর যায় সুইত্‌জারল্যান্ডে। বাধ সাধে সুইত্‌জারল্যান্ডের আদালত। বিয়ের অনুমতি দিতে রাজি হয়নি আদালত।

আদালতের কাছে ওই বৃদ্ধা জানিয়েছেন, তাঁদের দু’জনের পছন্দ এক। দু’জনেই র‌্যাপ মিউজিক এবং ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। আর সবথেকে বড় কথা তাঁরা কোনও সন্তান চান না এবং একে অপরকে অন্ধের মতো ভালোবাসেন। তাই তাঁদের বিয়েতে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত বিয়ের বিষয়টি নাকচ করে জানায়, ওই যুবক শুধুমাত্র সুইত্‌জারল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতির জন্যই বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে চাইছেন।

তিন বছর পর গত অগস্টে বৃদ্ধা তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিউনিশিয়া আসেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন,‘বিমানবন্দরে অনুমতি না থাকার জন্য ও আমায় সেখানে চুমু খেতে পারেনি। সে আমাকে সামনা-সামনি দেখার পর আমাকে ত্যাগ করতে চায়নি। এমন কী আমিও আর তিউনিশিয়ায় ছেড়ে, ফিরে যেতে চাই না। সে আমাকে ‘মাই লাইফ’ বলে ডাকে। তাঁকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। আমি ওঁকেই বিয়ে করতে চাই।’ ওই যুবকও জানিয়েছেন, বয়সের পার্থক্যটা তাঁদের মধ্যে কোনও সমস্যা নয়। তিনি তাঁর প্রেমিকাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপও করিয়ে দিয়েছেন। আর তাঁরা আপাতত তাঁর বাড়িতে একসঙ্গেই রয়েছেন।

old woman switzerland
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy