Advertisement
E-Paper

ছবিতেই মত বদল ব্রিটেনের

একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আর তাই হয়তো রাতারাতি অবস্থান বদলাতে বাধ্য হলেন তিনি। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকার আজ জানিয়েছে, আরও কয়েক হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৩:০৯

একটি ছবি হাজার শব্দের সমান। সেটা বিলক্ষণ বুঝেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। আর তাই হয়তো রাতারাতি অবস্থান বদলাতে বাধ্য হলেন তিনি। ব্রিটেনের কনজারভেটিভ সরকার আজ জানিয়েছে, আরও কয়েক হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।

বিশ্ব জুড়ে শরণার্থী-সঙ্কটের মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বেশির ভাগ দেশ যখন আশ্রয়ের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে, তখন ইইউ-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ ব্রিটেন জানিয়েছিল তারা এই প্রকল্পে সামিল হচ্ছে না। কিন্তু সেই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে যখন বিশ্ব জুড়ে তোলপাড় হচ্ছে তুরস্কের সৈকতে পড়ে থাকা তিন বছরের শিশু আয়লান কুর্দির ছবি নিয়ে, তখনই অন্য অনেকের মতো থমকে যান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘‘এক জন বাবা হিসেবে আমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।’’

বুধবারই অবশ্য তিনি বলেছিলেন ব্রিটেন আর সিরিয়ার শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে পারবে না। আয়লানের ছবি দেখার পরে আর সেই কথার পুনরাবৃত্তি না করে তিনি ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বসে যান আলোচনায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিটেনের এই অবস্থান নিয়ে যাতে জনমানসে বিরূপ প্রভাব না পড়ে তার জন্যই ডেভিড ক্যামেরন অবস্থান বদলানোর কথা ভাবছেন। বোঝাতে চাইছেন, ইউরোপ জুড়ে শরণার্থীদের আর্তি তাঁর কানেও পৌঁছচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি এই সঙ্কটের সামগ্রিক সমাধান নিয়েও ভাবনাচিন্তা করার কথা বলেছেন ক্যামেরন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শুধু আশ্রয় দিয়ে এই সঙ্কট মেটার নয়। সিরিয়ার এই ভয়ঙ্কর অবস্থায় জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট আসাদ এবং আইএস জঙ্গিরা। তাদের উপরেও কঠোর হতে হবে আমাদের।’’

হাঙ্গেরির শরণার্থী সমস্যাও আজ নতুন মোড় নিয়েছে। বুদাপেস্টের মূল রেল স্টেশনে আটকে থাকা শরণার্থীরা অস্ট্রিয়ার সীমান্তের দিকে এগোতে শুরু করেছেন। তাঁদের বাসে চাপিয়ে সীমান্তে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাঙ্গেরি।

পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার পথে দলে দলে শরণার্থী হাঙ্গেরিতে পা রাখায় এখন বিপাকে পড়েছে সে দেশের সরকার। জার্মানি ৮ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা করায় এখন সেদিকেই এগোতে চাইছেন শরণার্থীরা।

David Cameron UK Syrian
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy