Advertisement
E-Paper

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, বুধে মৃত্যু হল এক মার্কিন রক্ষীর, অন্য জনের অবস্থাও সঙ্কটজনক

বন্দুকবাজের গুলিতে গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। দুই রক্ষীর মধ্যে এক জনের মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। অপর জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৪০
নিহত রক্ষী সারা বেকস্টর্ম।

নিহত রক্ষী সারা বেকস্টর্ম। ছবি: সংগৃহীত।

হোয়াইট হাউসের অনতিদূরে গুলি চলেছিল বুধবার। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছিলেন আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্য। দুই রক্ষীর মধ্যে এক জনের মৃত্যু হল বৃহস্পতিবার। অপর জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বুধবার দুপুর ২টো ১৫ মিনিটে (আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুসারে) হোয়াইট হাউসের উত্তর-পশ্চিমে মাত্র দু’টি ব্লক দূরে এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ভোরে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের দিকে এগিয়ে এসে আচমকা বন্দুক বার করে গুলি চালাতে শুরু করেন আদতে আফগানিস্তানের নাগরিক রহমানুল্লা লাকানওয়াল। ফারাগাট মেট্রো স্টেশনের কাছে আমেরিকার ন্যাশনাল গার্ডের মহিলা রক্ষী সারা বেকস্টর্মের বুকে এবং মাথায় গুলি করেন তিনি। তার পর অ্যান্ড্রু ওল্‌ফ নামের আর এক রক্ষীকেও গুলি করেন। তার পরেই তৃতীয় রক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয় ওই বন্দুকবাজের।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সারার মৃত্যুসংবাদ জানান। ওই রক্ষীর প্রশংসা করে তিনি লেখেন, “ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার সারা বেকস্টর্মকে নিয়ে এখন কথা বলছি। উনি একজন সম্মানিত, দুর্দান্ত মানুষ। কিছু ক্ষণ আগেই উনি মারা গিয়েছেন। উনি আর আমাদের সঙ্গে নেই।” গুলিবিদ্ধ আর এক রক্ষীর শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, “উনি এখনও জীবনযুদ্ধে লড়াই করছেন।”

আমেরিকার একাধিক সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকায় এসেছিলেন রহমানুল্লা। ওই বছরের ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের দখল নিয়েছিল তালিবান। সেই সময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি রয়েছে, এমন আফগান নাগরিকদের আমেরিকায় নিয়ে আসতে ‘অপারেশন অ্যালাইস ওয়েলকাম’ শুরু করেছিল জো বাইডেনের সরকার। ওই অভিযানে বিমানে চাপিয়ে আফগানিস্তান থেকে প্রায় ২০ হাজার আফগান নাগরিক, মার্কিন কূটনীতিকদের আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। সেই সময়ই রহমানুল্লা আমেরিকার মাটিতে পা রাখেন। তার পর থেকে তিনি ওয়াশিংটনের বেলিংহামেই থাকতেন।

White House Donald Trump US
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy