Advertisement
E-Paper

সভায় বন্দুকবাজের হানা, ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে বেরিয়ে গেল গুলি! রক্তাক্ত প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজের হানা। গুলি বেরিয়ে গেল ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে। তাঁর কান থেকে রক্ত পড়ছিল। দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪১
পেনসিলভেনিয়ার সভায় রক্তাক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার।

পেনসিলভেনিয়ার সভায় রক্তাক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার। ছবি: এএফপি।

আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সভায় বন্দুকবাজের হানা। গুলি বেরিয়ে গেল ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে। সভায় রক্তাক্ত হলেন ট্রাম্প। তবে বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলেই জানাচ্ছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম। গুলি লাগার পর তাঁর কান থেকে রক্ত পড়ছিল। দ্রুত মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাম্পকে। পরে সভার অভিজ্ঞতার কথা তিনি নিজেও ভাগ করে নিয়েছেন।

শনিবার পেনসিলভেনিয়ার বাটলারের একটি সভায় গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর কথা শোনার জন্য প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়েছিল। মঞ্চে উঠে কথা বলতে শুরু করেন ট্রাম্প। তখনই গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দেখা যায়, ট্রাম্পের ডান দিকের কানের পাশ থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। তাঁর মুখেও রক্ত দেখা যায়। তিনি হাত দিয়ে কান চেপে ধরেন। সভায় উপস্থিত বাকিরাও নিচু হয়ে বসে পড়েন। দ্রুত সেখান থেকে ট্রাম্পকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। সভাস্থলে আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়।

হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত নিহত। সভায় উপস্থিত এক দর্শকেরও মৃত্যু হয়েছে। আরও দু’জন জখম।

ঘটনাপ্রসঙ্গে ট্রাম্প পরে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি আমার কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে। ডান কানের উপরের দিকের চামড়া গুলিতে চিরে গিয়েছে।’’

ট্রাম্প আরও লেখেন, ‘‘আমি সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। কারণ, আমি একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। তার পর কানে ধারালো কিছু অনুভব করেছিলাম। অনেকটা রক্ত বেরিয়ে যাওয়ার পর বুঝলাম, আসলে কী ঘটেছে। আমাদের দেশে যে এমনটা ঘটতে পারে, ভাবতেই পারি না। বন্দুকবাজ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তিনি নিহত।’’

দলমত নির্বিশেষে ট্রাম্পের সভায় এই হামলার ঘটনার নিন্দা করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক নেতারা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘‘আমেরিকায় এই ধরনের হিংসার কোনও জায়গা নেই। আমাদের একজোট হয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো উচিত এবং এর নিন্দা করা উচিত।’’

Donald Trump US Gunshot gunman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy