ছবি:এপি
ভারত আর চিন অযথা ফায়দা লুটছে বলে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল বলে আজ জানিয়ে দিল সে দেশেরই এক গণমাধ্যম। যাদের কাজই হল নানাবিধ তথ্য যাচাই করা।
চুক্তিটি সম্পর্কে ট্রাম্পের আপত্তি মূলত দু’টি। এক, আমেরিকাকে অনুদান হিসেবে দিতে হবে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার, যা তাঁর মতে অন্যায় রকমের বেশি। দুই, ট্রাম্পের দাবি, চিন ও ভারতের অতিরিক্ত সুবিধা পাবে। বৃহস্পতিবার চুক্তি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এটা অন্যায়। এই চুক্তিতে কোটি কোটি ডলার সাহায্য পাচ্ছে ওরা। এ বার দ্বিগুণ কয়লা উৎপাদনের ছাড়পত্র পাবে ভারত। কয়লা-ভিত্তিক নতুন নতুন কারখানা খুলে ফায়দা লুটবে চিনও। অথচ আমেরিকা কিছুই করতে পারবে না।’’ চুক্তির খুঁটিনাটি যাচাই করে ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিযোগটি আজ খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন ওই গণমাধ্যম।
সংস্থাটির ম্যানেজিং এডিটর লরি রবার্টসনের কথায়, ‘‘কারা কারখানা তৈরি করতে পারবে, বা পারবে না— এমন কোনও দিশা নির্দেশ ওই চুক্তিতে নেই। এই মুহূর্তে আমেরিকায় কয়লা-ভিত্তিক কারখানার ভবিষ্যৎ আদৌ লাভজনক নয়।’’ তাঁর যুক্তি, কয়লার চেয়ে ঢের সস্তা বিকল্প জ্বালানি আমেরিকার হাতে রয়েছে।
চুক্তির বিরুদ্ধে আজ আবার তোপ দেগেছেন ট্রাম্পের পরিবেশ বিষয়ক প্রশাসক স্কট প্রুইট। তাঁর দাবি, চুক্তি অনুযায়ী গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমায়নি চিন ও ভারত। তাই মার্কিন স্বার্থের কথা ভেবে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে এসে প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত বলিষ্ঠ এক পদক্ষেপ করেছেন। রাতারাতি নয়, পক্ষে-বিপক্ষে সব যুক্তি শুনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের অবশ্য দাবি, প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসা মানেই পরিবেশ রক্ষার দায় এড়ানো নয়। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই আমরা কার্বন নিঃসরণ অনেকটা কমিয়ে ফেলেছি। প্যারিস চুক্তি ছাড়াই যে কাজ ভবিষ্যতেও করা যাবে বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy