Advertisement
E-Paper

‘একঘরে’ কাতারকে একহাত ট্রাম্পের

মার্কিন বিদেশ দফতর সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট এক এক সময়ে এক এক রকম কথা বলায় যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে তা বুঝতে পারছে বিদেশ দফতরও। মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন অবশ্য প্রকাশ্যে এখনও আলোচনার পক্ষে সওয়াল করছেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৭ ০৩:২২
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প

সন্ত্রাসে মদত দেওয়া বন্ধ না করলে কাতারের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাতার প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বার বার সুর বদলে ওয়াশিংটনের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি কাতারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ এনেই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব-সহ আরব দুনিয়ার ছ’টি দেশ ও মলদ্বীপ। কূটনীতিকদের অবশ্য দাবি, কাতার ইরান সম্পর্কে সুর নরম করাতেই এই পদক্ষেপ। ট্রাম্প প্রথমে টুইটারে বুঝিয়ে দেন, মার্কিন চাপেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি-সহ
আরব দেশগুলি। এটাই সন্ত্রাসের ‘শেষের শুরু’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কাতারের আমিরকে ফোন করে সঙ্কট মেটাতে তাদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। কাল সাংবাদিক বৈঠকে ফের কাতারকে নিশানা করেছেন।

মার্কিন বিদেশ দফতর সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট এক এক সময়ে এক এক রকম কথা বলায় যে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে তা বুঝতে পারছে বিদেশ দফতরও। মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন অবশ্য প্রকাশ্যে এখনও আলোচনার পক্ষে সওয়াল করছেন।

হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, অনেক দিন ধরেই সন্ত্রাসে মদত দিয়ে আসছে কাতার। আর তা সর্বোচ্চ পর্যায়ের। তাই এখনও আমরা সহজ রাস্তাতেই হাঁটব, নাকি কঠিন হলেও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটা পদক্ষেপ করব— দ্রুত সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’

কেমন সেই সিদ্ধান্ত? ট্রাম্প জানান, সম্প্রতি সৌদি সফরে গিয়ে রিয়াধের এক বৈঠকে এই পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল আরব দেশগুলির সঙ্গে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাতারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘‘জঙ্গিদের তহবিলে অর্থের জোগান দেওয়া এখনই বন্ধ হোক। হিংসা ছড়াবেন না। বন্ধ করুন খুনোখুনি। আমি কোনও দেশের নাম করতে চাই না, কিন্তু সন্ত্রাসবাদ দমনে অনেক দেশই হাত গুটিয়ে রেখেছে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। কড়া পদক্ষেপ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই আমাদের কাছে।’’

গত মাসে রিয়াধে ৫০টিরও বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ দিন সাংবাদিকদের সামনে সেই বৈঠকটিকে ‘ঐতিহাসিক’ এবং ‘মৌলিক’ বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘কোনও সভ্য দেশই হিংসাকে প্রশ্রয় দিতে পারে না। জঙ্গি মতবাদকে সমর্থন কিংবা বাড়তে দেওয়াটাও কোনও কাজের কথা নয়। তাই জঙ্গি দমনে সব ধরনের মদত দেওয়াই বন্ধ করতে হবে কাতারকে। সঙ্গে বাকিদেরও।’’

কূটনৈতিক সূত্রে খবর, কাতারও এখন আর আমেরিকার মধ্যস্থতা চাইছে না। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী কাল এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পড়শি ছ’টি দেশ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে অবরোধ চাপিয়েছে। যা তাদের অধিকারের মধ্যে পড়ে না। আমরা সফল আর প্রগতিশীল বলেই কাতারকে একঘরে করার একটা চক্রান্ত চলছে।’’

সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে কাতারকে হুমকি দেওয়ার পর এ বার মারাউই থেকে জঙ্গি হটাতে ফিলিপিন্সের পাশে দাঁড়াল ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা। শনিবার এক এ কথা জানান ফিলিপিন্স সেনাবাহিনীর মুখপাত্র। তবে তা শুধুই প্রযুক্তিগত সাহায্য বলে জানান তিনি। মে মাসের শেষ থেকে ফিলিপিন্সের এই শহরটি আইএস সাহায্যপ্রাপ্ত ইসলামি জঙ্গিদের দখলে।

Donald Trump Qatar Saudi Arabia Terrorism সন্ত্রাস ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy