Advertisement
E-Paper

ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তি হচ্ছে! মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের ঘোষণা, শুল্ক কি থাকছে

ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো, আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল এবং সামরিক বিমান কেনার বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:২০
(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে।

(বাঁ দিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। ছবি: সমাজমাধ্যম।

ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তির পথে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই বাণিজ্যচুক্তিকে নিজেই ‘অপূর্ব’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও সেখানে শুল্কযুদ্ধ চলবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো, আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল এবং সামরিক বিমান কেনার বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় মোদীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, “উনি আমার চেয়ে আরও কঠিন এবং ভাল মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে (আমাদের মধ্যে) প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।”

‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তির রূপরেখা জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা (ভারত এবং আমেরিকা) ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাণিজ্যপথ ধরে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। এই বাণিজ্যপথ ভারত থেকে শুরু হয়ে ইজ়রায়েল হয়ে, ইটালিকে ছুঁয়ে আমেরিকায় আসবে।” সড়ক, রেল এবং সমুদ্রগর্ভস্থ পথে চলা এই বাণিজ্য দুই দেশের সহযোগী দেশগুলিকেও ছুঁয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে, তা মেটাতে দু’পক্ষই দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকার বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রফতানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। সেই অসামঞ্জস্য ঘোচাতে ভারত আরও বেশি খনিজ তেল আমেরিকা থেকে কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

অন্য দিকে, মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগেই পারস্পরিক শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এই শুল্কের অর্থ হল, যে দেশ আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, সেই দেশের পণ্যের উপরেও পাল্টা কর চাপাবে আমেরিকা। ভারত আমেরিকার পণ্যে শুল্ক চাপালে নয়াদিল্লিকেও যে ছাড় দেওয়া হবে না, বৃহস্পতিবার সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখেন ট্রাম্প। ভারতে আমদানিকৃত আমেরিকার পণ্যের শুল্কহারকে ‘খুব বেশি’ বলে আবার দাবি করেন তিনি। বলেন, “ভারত যে হারে শুল্ক চাপাবে, আমরাও সেই হারে শুল্ক চাপাব।”

Narendra Modi Donald Trump US Meeting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy