—ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী প্রচারেই ভারতের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও ভারতকে তাঁর তালিকায় উপরের দিকে রাখলেন তিনি। সরকারি ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার দিন কয়েক পরই তাই কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। মঙ্গলবার ট্রাম্পের কাজের সময়সূচি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ দিন ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কখা হবে টেলিফোনে।
আরও পড়ুন
বরফ গলাতে নেতানিয়াহুকে ফোন ট্রাম্পের
ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের যে ক’জন রাষ্ট্রপ্রধান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী তাঁদের অন্যতম। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ভারত ও ইজরায়েলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি। মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনেতিক সংস্কারের তারিফ করেছিলেন তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প। কূটনৈতিক ভাবে আমেরিকার কাছে ভারত যে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী তা-ও জানিয়েছিলেন। ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছিল। এমনকী বেশ কয়েক বার ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলেছে ওয়াশিংটন। ট্রাম্প জমানায় সেই সম্পর্কের গতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে দু’দেশের রাজনৈতিক মহলেই কৌতূহল রয়েছে। সে দিক থেকে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আজকের কথোপকথন দু’দেশের চলতি সুসম্পর্ককে ধরে রাখা বা আরও প্রসারিত করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন
ভিনগ্রহীরা বার বার আসছে পৃথিবীতে! গোপন নথি প্রকাশ করল সিআইএ
গত ২০ জানুয়ারি ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর এখনও পর্যন্ত চার জন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে ট্রাম্পের। গত শনিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মেক্সিকোর প্রধানমন্ত্রী পেনা নিয়েতোকে টেলিফোন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। রবিবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-র পর গত কাল মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাট্টাহ এল-সিসি-র সঙ্গেও কথোপকথন হয় ট্রাম্পের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy