আমেরিকার তৈরি করা বিমানঘাঁটি ফেরত চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে তা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে। যদি তারা বিমানঘাঁটি ফেরত দিতে রাজি না হয়, তবে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানালেন, বিমানঘাঁটি ফেরত না দিতে চাইলে আফগানিস্তানের ‘খারাপ’ হবে।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার পর আফগানিস্তানে একটি বিমানঘাঁটি তৈরি করেছিল আমেরিকা। বাগরাম বিমানঘাঁটিটি ২০০১ সাল থেকেই মার্কিন সেনা ব্যবহার করত। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তৎকালীন জো বাইডেন প্রশাসন। তখন তালিবান ওই মার্কিন ঘাঁটিও দখল করে নেয়। গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানান, তিনি আফগানিস্তানের বিমানঘাঁটিটি পুনরুদ্ধার করতে চান। তা নিয়ে সে দেশের তালিবান সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। শনিবার ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখলেন, ‘‘বাগরাম বিমানঘাঁটি যারা বানিয়েছে, আফগানিস্তান যদি সেটা তাদের ফেরত না দেয়, তবে খুব খারাপ হবে।’’ এর পর হোয়াইট হাউসের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘এখন আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা ওই বিমানঘাঁটি ফেরত চাই। খুব শীঘ্রই ফেরত চাই। যদি ওরা সেটা না করে, আমি কী করব সেটা আপনারা সকলে দেখতে পাবেন।’’
আরও পড়ুন:
ঠিক কী পদক্ষেপ করা হতে পারে তালিবানশাসিত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে? খোলসা করেননি ট্রাম্প। সেখানে কি বিমানঘাঁটি পুনর্দখল করতে সেনা পাঠাবে ওয়াশিংটন? এ প্রশ্নের উত্তরও তিনি সরাসরি দেননি। বলেছেন, ‘‘এটা নিয়ে এখন আমরা কথা বলব না।’’
আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সেখানে মার্কিন সাহায্যপ্রাপ্ত সরকারও পড়ে যায়। কাবুলের কুর্সিতে বসে জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবান। গত চার বছর ধরে তারাই দেশ চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখল নিয়ে সতর্ক আমেরিকান আধিকারিকেরাও। অনেকেই মনে করছেন, বিমানঘাঁটি বলপ্রয়োগ করে পুনর্দখল করতে হলে তা আফগানিস্তানে পুনরায় আক্রমণ চালানোর সমান হবে। কারণ, অন্তত ১০ হাজার সেনা প্রয়োজন হবে সেই কাজে। ট্রাম্পের তেমন পরিকল্পনা আছে কি না, এখনই তা স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশের অভিমত, বলপ্রয়োগ করতে গেলে কাজটা খুব সহজ হবে না।