Advertisement
E-Paper

ইরাকে বাহিনী থাক, চান ট্রাম্প

ইরানের থেকে যে ভয়ের কিছু নেই, গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্টকে তা জানিয়েছে দেশের গোয়েন্দা বাহিনী।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

গোয়েন্দারা বারবার সতর্ক করছেন, সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে। ফের মাথাচাড়া দিতে পারে তালিবান ও আইএস জঙ্গিরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু অনড়ই। কাল সাক্ষাৎকারে তিনি এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘যে যুদ্ধের শেষ নেই, সেখানে আর সেনা রাখার কোনও মানে নেই।’’ যদিও ইরাকে আগের মতোই সেনা মোতায়েন থাকবে বলে জানান ট্রাম্প। কারণ একটাই— ইরানের উপর নজর রাখা।

অথচ ইরানের থেকে যে ভয়ের কিছু নেই, গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্টকে তা জানিয়েছে দেশের গোয়েন্দা বাহিনী। তাদের রিপোর্ট বলছে, ইরান এখন আর পরমাণু বোমা বানাচ্ছে না। ট্রাম্প কিন্তু তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘ইরান এখনও আমাদের কাছে একটা বড় সমস্যা। ইরাক থেকে সেনা প্রত্যাহার মানে তেহরানের উপরে নজরদারি কমে যাওয়া। সেটা আমি কিছুতেই হতে দিতে পারি না।’’ যদিও ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ আবার সোমবারই দাবি করেছেন, তাঁর দেশে মোতায়েন মার্কিন সেনা যে ইরানের উপরে নজরদারি চালাবে, সে সংক্রান্ত কোনও অনুমতি নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বিরোধীদের দাবি, আশঙ্কা তো আফগানিস্তান-সিরিয়াতেও আছে। মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পরে ফের জঙ্গিরা জমি দখলে নামতে পারে। এ নিয়ে ট্রাম্প পাল্টা যুক্তি দেন, ‘‘অনেক তো হল। আফগানিস্তানে সেনা রাখতে গিয়ে আমাদের প্রচুর অর্থ ধ্বংস এবং রক্তক্ষয় হয়েছে। এখন সবাই ক্লান্ত। তালিবানও। ওরা তো শান্তি চাইছে। দেখাই যাক না কী হয়!’’

হোয়াইট হাউসে আসার আগে থেকেই আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করে আসছেন ট্রাম্প। ইদানীং যেন আরও সক্রিয় হয়েছে তাঁর প্রশাসন। ট্রাম্প চাইছেন, এখানে ১৭ বছরের ‘গৃহযুদ্ধ’ মেটাতে পাকিস্তান মধ্যস্থতা করুক। অন্য দিকে, কাতারের সঙ্গেও এ নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এখনও কোনও সমাধানসূত্র চোখে পড়েনি বটে, কিন্তু ট্রাম্প নির্দেশ দিয়েছেন— আফগানিস্তান থেকে সব সেনা ঘরে ফিরুক।

সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়েও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প। কালও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘জঙ্গি-হটানোর কাজ সিরিয়ায় আর এক শতাংশও বাকি নেই। সেটাও হয়ে যাবে দ্রুত।’’ ট্রাম্প তাই সেখান থেকে অর্ধেক অর্থাৎ হাজার দুয়েক সেনা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আগামী মঙ্গলবার বার্ষিক স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণে প্রেসিডেন্ট হয়তো সিরিয়াকে জঙ্গিমুক্ত ঘোষণা করতে পারেন।

আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন তাঁর গোয়েন্দারা।

Iran Donald Trump US troops
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy