রাস্তার ধারে বসে লোকটা। হাতকড়া-বাঁধা হাত পিছমোড়া করা। পাশে দু’তিন জন পুলিশ। সেই অবস্থাতেই এক সাংবাদিককে উইলি কোরি গডবোল্ট বলছে, ‘‘যা করেছি, তার পরে আমার বাঁচার অধিকার নেই।’’
আমেরিকার মিসিসিপির লিঙ্কন কাউন্টিতে গত রাতে গুলিতে খুন হয়েছেন ৮ জন। প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত, কোরিই তাঁদের হত্যাকারী বন্দুকবাজ। নিহতদের মধ্যে আছেন এলাকার ডেপুটি শেরিফ উইলিয়াম ডার (৩৬), চার মহিলা, দুই নাবালক ও আর এক ব্যক্তি।
তদন্ত ব্যুরোর মুখপাত্র ওয়ারেন স্ট্রেন জানিয়েছেন, শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে তিনটি বাড়িতে গুলি চলে। একটি বাড়ি বোগ চিটোয়, দু’টি ব্রুকহ্যাভনে। আজ সকালে ৩৫ বছরের কোরিকে গ্রেফতার করা হয় বোগ চিটো থেকেই। আগেও একাধিক বার পুলিশের খাতায় নাম উঠেছে কোরির। কিন্তু এ বার সে কেন এত জনকে মারল, স্পষ্ট নয়। প্রাথমিক তদন্তে জঙ্গি-যোগও মেলেনি। সন্দেহ করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।
রাস্তার ধারে ওই সাংবাদিকের তোলা ভিডিওতে কোরি বলেছে, ‘‘স্ত্রী, শাশুড়ি এবং স্ত্রীর সৎ বাবার সঙ্গে কথা বলছিলাম। বাচ্চাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ কে যেন পুলিশ ডাকল।’’ ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, বোগ চিটোর লি রোডের একটি বাড়িতেই স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল কোরি। সম্ভবত উত্তেজনার আঁচ পেয়েই শেরিফের অফিসে খবর দেন কেউ। ডেপুটি শেরিফ এসেছিলেন পরিস্থিতি শান্ত করতে। তখনই ছোটে গুলি। কিন্তু এর পর থেকেই বাকি ঘটনাক্রম ধোঁয়াশায় ঢাকা। এটুকু জানা গিয়েছে, বোগ চিটোর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ডেপুটি শেরিফ ও তিন মহিলার দেহ। ব্রুকহ্যাভনের একটি বাড়িতে দুই নাবালকের, অন্য বাড়িটিতে এক পুরুষ ও এক মহিলার দেহ পড়ে ছিল।
কোরি বলেছে, ডেপুটি শেরিফের মৃত্যুর জন্য সে দুঃখিত। তাঁকে সে মারতে চায়নি। সে বলে, ‘‘গুলি ফুরিয়ে গিয়েছিল। চেয়েছিলাম ঈশ্বর আমায় মারুন। আমার আত্মহত্যার কাজটুকু পুলিশই করে দিক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy