১৮৩৫ সাল। লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের সহযোগিতায় গোড়াপত্তন হয়েছিল ‘মেডিক্যাল কলেজ, বেঙ্গল’-এর। সময়ের পথ ধরে সেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ দ্বিশত বর্ষের দিকে এগোচ্ছে। মাস কয়েক আগে ১৯০ তম বর্ষ পূর্তি উদ্যাপনের মধ্যে দিয়েই এশিয়ার প্রথম আধুনিক মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বের দরবারে আরও বেশি করে পরিচয় করিয়ে দিতে উদ্যোগী প্রাক্তনীরা। সেই সূত্রেই এ বার লন্ডনের হাউস অব লর্ডসে বহু ইতিহাসের সাক্ষ্য বহনকরী কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে তুলে ধরলেন তাঁরা।
কলকাতা মেডিক্যালের কয়েকশো প্রাক্তনী ইংল্যাণ্ডের মাটিতে চিকিৎসা পরিষেবায় যুক্ত। তাঁদের কয়েক জন মাস কয়েক আগে হাজির হয়েছিলেন ১৯০ তম বর্ষপূর্তির সূচনা অনুষ্ঠানে। কিন্তু সেখানেই না থেমে চিকিৎসক অমিত ঘোষ, প্রাক্তনী সংগঠনের সম্পাদক অভীক ঘোষ-সহ ১০-১২ জনের প্রতিনিধিদল পাড়ি দেন লন্ডনে। সেখানে অনাবাসী বাঙালি ও প্রাক্তনীদের সামনে নিজেদের কথা তুলে ধরলেন অভীক, মমতাজ সঙ্ঘমিত্রারা।
সোমবার লন্ডন থেকে অমিত বলেন, ‘‘নিজেদের দ্বিতীয় বাড়ির (কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ) ঐতিহাসিক মূল্য সকলের সামনে তুলে ধরেছি।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কলকাতার আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যদি বিদেশিরা উৎসাহিত হতে পারেন, তা হলে কেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজকে জানবেন বা চিনবেন না?’’ অভীক বলেন, ‘‘কলকাতা মেডিক্যাল যাতে ইউনেস্কোর তরফে জাতীয় হেরিটেজের তকমা পায়, প্রাক্তনীরা সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’
কলকাতা মেডিক্যালের গ্রন্থাগারের ডিজিটাইজ়েশনও দু’শো বছর পূর্তির পরিকল্পনার অঙ্গ বলে জানাচ্ছেন প্রাক্তনীরা। অমিতের কথায়, ‘‘উত্তরসূরিদের সহযোগিতা করতে রাজ্য-দেশ-বিদেশ থেকে প্রাক্তনীরা যাতে একত্রিত হতে পারেন, সেই চেষ্টা জারি থাকবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)