ইমরান। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মডেল অনুসরণ করার পরামর্শ দিলেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা। সে কথা মেনে ইসলামাবাদ ঢাকার পথে কতটা এগোবে, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও মুখ খোলেনি পাক সরকার। কিন্তু চিরবৈরী দেশকে অনুসরণ করার এই পরামর্শটুকুই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
একাত্তরে পাকিস্তান ভেঙে বেরিয়ে আসার পর রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা যথেষ্ট দ্বিধায় ছিলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকতে পারবে কি না। এই নিয়ে তখন তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু ৪৭ বছর পর সম্পূর্ণ উল্টো কথা উঠছে।
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে পাকিস্তানের নতুন সরকার সুইডেনের আর্থিক মডেল অনুসরণ করার পরিকল্পনা নিয়ে চলছে। সুইডেনের আন্তর্জাতিক ঋণ এবং মূল্যবৃদ্ধির হার খুবই কম। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির মধ্যে তারই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সবচেয়ে ভাল। কিন্তু পাকিস্তানের প্রবীণ সাংবাদিক জায়গাম খান সুইডেনের পরিবর্তে বাংলাদেশকেই মডেল করার পরামর্শ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুমুল উন্নতি করেছে। ঢাকা এবং ইসলামাবাদের স্টক এক্সচেঞ্জের তুলনা করে দেখানো হয়েছে, পাকিস্তানের দুর্বলতার দিকগুলি। সে দেশের একটি টক শো-এ জায়গাম এবং অন্য আর্থিক পরামর্শদাতারা সমস্বরে জানিয়েছেন, আজ থেকে চেষ্টা করলে উন্নয়নের নিরিখে দশ বছর লাগবে বাংলাদেশকে ছুঁতে। বছরে ৪০ বিলিয়ন ডলার পণ্য ও পরিষেবা বিভিন্ন রাষ্ট্রে রফতানি করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের এই পরিমাণ মাত্র ২২ মিলিয়ন ডলার।
অনুষ্ঠানটির ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্নও করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।হাসিনার কথায়, ‘‘পাকিস্তান যদি কোনও সহযোগিতা চায়, আমরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। কেন করব না!’’ উন্নয়নের তলানিতে পড়ে থাকা রাষ্ট্রের তালিকা থেকে বে়রিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। জাতীয় গড় আয়, মানবসম্পদ সূচক, আর্থিক বিপদমাত্রার সূচক— সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের উন্নতি পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy