Advertisement
E-Paper

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যক্তিগত তথ্যও বিক্রি হয়ে গিয়েছে, খোঁচা এল ফেসবুকের দিকে

ফেসবুকের হাতে উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে ফের সংশয় প্রকাশ করলেন হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাক্টন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

ফেসবুকের হাতে উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে ফের সংশয় প্রকাশ করলেন হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাক্টন। এক মার্কিন পত্রিকাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে কোনও রাখঢাক না রেখেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘১৯০০ কোটি ডলারে ফেসবুকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে উপভোক্তাদের ব্যক্তিগত তথ্যও সম্ভবত ‘বিক্রি’ করে দিয়েছি আমি।’’

২০০৯ সালে জান কুউমের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন অ্যাক্টন। তাঁর দাবি, মেসেজিং অ্যাপটি যত দিন তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল, তত দিন গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা নিয়ে সব সময়ে সচেতন ছিলেন তাঁরা। এমনকি, হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রির সময়েও গ্রাহকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার শর্তটি জুড়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। অ্যাক্টনের দাবি, সেই শর্ত থেকে সরে আসছেন দেখেই ফেসবুকের সিইও মার্ক জ়াকারবার্গের সঙ্গে বিরোধ হয় তাঁদের। ২০১৭ সালে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়েন অ্যাক্টন। চলতি বছরে সরে আসেন কুউমও।

সাক্ষাৎকারে অ্যাক্টন জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপের ব্যাণিজ্যিকীকরণের বিপক্ষে ছিলেন তাঁরা। অথচ হোয়াটসঅ্যাপে বিজ্ঞাপনের প্রচার করতে চাইতেন জ়াকারবার্গ। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রাহকদের ফোন নম্বর ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল ফেসবুকের। যাতে সরাসরি বাণিজ্যিক সংস্থা গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। অ্যাক্টনের দাবি, ফেসবুক বরাবরই এই পরিকল্পনা নিয়ে চলেছে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপের শেয়ার ছেড়ে বেরিয়ে আসা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না তাঁর কাছে। অ্যাক্টনের কথায়, ‘‘আমার সংস্থা আমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। তার সঙ্গে সঙ্গে হয়ত উপভোক্তাদের গোপনীয়তা বিকিয়ে দিয়েছি। আপস করে হলেও হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমায় প্রতিদিন এই ভাবনা নিয়েই কাটাতে হয়’’।

গত নভেম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ছাড়ার পর থেকেই নানা সময়ে ফেসবুকের সমালোচনা শোনা গিয়েছে অ্যাক্টনের মুখে। ফেসবুক থেকে তথ্য চুরি নিয়ে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলঙ্কারির পরে ‘ডিলিটফেসবুক’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রচার শুরু করেছিলেন তিনি। অ্যাক্টনের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও জবাব দেয়নি ফেসবুক।

Facebook WhatsApp Social edia Data Leak Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy