ফেসবুক গ্লোবাল হ্যাকাথন ফাইনাল জিতল টিম টার্টানিয়াম। এ বছর ফেসবুক হ্যাকাথনে অংশ নিয়েছিল মোট ১১টি দেশের ২১টি দল। মোট ফাইনালিস্ট ৭৮ জন। ইজরায়েল, সিঙ্গাপুর, মস্কো, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, বার্সেলোনা, কানাডা, লন্ডন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকাররা জমা হয়েছিলেন মেনলো পার্কের ফেসবুক হেডকোয়ার্টারে। সকলকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করে নিয়েছে এসআরএম ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী সুমন্থ রেড্ডি পঙ্গদুলা, কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটির পড়ুয়া অভি রোমানফ ও নিখিল চৌধুরি এবং টিফানি জিয়াঙ্গের টিম টার্টানিয়াম।
এর আগে টারটান হ্যাকস হ্যাকাথনে ফেসবুক এপিআই অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন সুমন্থ। ফাইনালে অনরিল.নিউজ তৈরি করে টিম টার্টানিয়াম। এর সাহায্যে ভিডিওর মাধ্যমে সারা বিশ্বে যে ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে তা ট্র্যাক করা যাবে। রিয়াল টাইমে ইনস্টাগ্রাম ভিডিও আপলোড করলে ম্যাপে মার্কার ফুটে উঠবে। যে মার্কার দেখে কোন জায়গা থেকে কে কোন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে তা বোঝা যাবে। কোনও হ্যাশট্যাগে ক্লিক করলে গ্রিড ফরম্যাটে উঠে আসবে ইনস্টাগ্রাম ভিডিও বা ফোটোগ্যালারি। সুমন্থ জানান, আমরা সোশ্যাল শেয়ার ফাংশনের সাহায্যে সারা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা চাই ইউজাররা আমাদের মাধ্যমে টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইমেলে ভিডিও শেয়ার করে ভাইরাল করতে পারবে।
প্যারিস হামলার পর ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে এই আইডিয়া মাথায় আসে বলে জানিয়েছেন সুমন্থ। এসআরএম ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সের মেধাবী ছাত্র হিসেবে বরাবরই খ্যাতি ছিল সুমন্থের। তাই স্নাতক স্তরের ফাইনাল সেমেস্টারে আমেরিকার সিএমইউ-তে গিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়ে যান সুমন্থ। আমেরিকার সিএমইউ-এর সঙ্গে এসআরএম ইউনিভার্সিটি যৌথ উদ্যোগে একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম চলছে। সেই সূত্রেই সিএমইউ-তে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের রিসার্চ প্রজেক্টের কাজ করতে তাঁর আরও সুবিধা হয়েছিল। আপাতত শিকাগোর ইলিনয় ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করছেন সুমন্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy