বৃষ্টি থেকে বাঁচতে। ছবি: রয়টার্স।
টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে হড়পা বান এবং ধসের কবলে পড়ে বাংলাদেশে মৃত্যু হল ১৪ জনের। আহত ৩৫-এর বেশি। প্রশাসন সূত্রে খবর, টানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের জেরে সবচেয়ে বিপর্যস্ত অবস্থা দেশের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের কক্স বাজার এবং বান্দারবন জেলায়। মাটি ধসে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। মাথায় গাছের ডাল ভেঙে এবং হড়পা বানে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বাকিদের। এর মধ্যে কক্সবাজারেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। মাটি ধসেই জখম হয়েছেন ৩৫ জনের বেশি মানুষ। জলমগ্ন বহু গ্রাম। ওই সব অঞ্চলে আশ্রয়হীন বহু মানুষ। বাকি দেশের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিমের জেলাগুলি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সারা দেশের উপরই এই মুহূর্তে প্রবল ভাবে সক্রিয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। তার জেরে এখনই অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সবচেয়ে বেশী বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামের টেকনাফে। সেখানে শুক্রবার সারা দিন বৃষ্টি হয়েছে অন্তত ২১৩ মিলিমিটার। প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে টেকনাফের কাছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উঁচু ঢেউয়ের ধাক্কায় এই অঞ্চলে সম্পূর্ণ ধুলিসাত্ হয়ে গিয়েছে ২৪টি বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। টানা বৃষ্টিতে জলের তলায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুক্রবার সারা দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা-সহ চট্টগ্রাম, বরিশাল, ফরিদপুর, চাঁদপুর, ঝিনাইদহ প্রভৃতি জেলা।
টানা কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই জল বাড়ছে প্রধান নদীগুলিতে। বিশেষজ্ঞদের মত, এখনই অবস্থার উন্নতি না হলে বন্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রশাসন সব রকম ভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে হাসিনা সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy