রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।
আমেরিকা সফরের তৃতীয় দিনে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হওয়ার পরে এই প্রথম গুতেরেসের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী। অন্য সময় হলে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা ছিল সন্ত্রাসবাদ, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহারের পর ভারতের সম্ভাব্য ভূমিকার মতো বিষয়গুলি। আজকের দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ওই বিষয়গুলি উঠেওছিল। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্রের খবর, বৈঠকের মূল ভরকেন্দ্র ছিল কোভিড প্রতিষেধক।
সম্প্রতি গুতেরেস করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশ্যেই গভীর উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন। সরব হয়েছেন করোনা মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতা নিয়েও।
আজকের আলোচনায় উঠে এসেছে অতিমারির ফলে ভারতের সামনে তৈরি হওয়া আশু এবং পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলি। সূত্রের খবর, জয়শঙ্করের কাছে গুতেরেস জানতে চেয়েছেন, সঙ্কট মোচনে মোদী সরকারের ভবিষ্যৎ পথনির্দেশিকা।
ঘণ্টাখানেকের বৈঠকের পর জয়শঙ্করের টুইট, “রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সামগ্রিক আলোচনা হয়েছে। কোভিডের কারণে তৈরি হওয়া চ্যালেঞ্জ, আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিষেধকের ব্যবস্থা, টিকা সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখা, উৎপাদনের হার বাড়ানো এবং যাতে তা সব রাষ্ট্রের মধ্যে ন্যায্য ভাবে বণ্টন হয় তা নিয়ে কথা হয়েছে।”
ভারত এই মুহূর্তে প্রতিষেধকের ব্যাপারে অনেকাংশে সরাসরি আমেরিকার উপর নির্ভরশীল। নিউ ইয়র্কে বসে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের সঙ্গে প্রতিষেধকের সুষ্ঠু সরবরাহের দাবি করে, কার্যত বাইডেন সরকারের কাছেও বার্তা দিতে চাইল ভারত, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এ সব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপুঞ্জের ভূমিকাকে ভারতের পক্ষে রেখে যতটা সম্ভব প্রতিষেধক আদায় করাটাও লক্ষ্য বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy